প্রতিবেশির নির্যাতনে চোখ হারাতে বসেছে স্বপ্না
নিউজ ডেস্ক:শিশু সন্তানকে পিটিয়ে জখম করার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশির হাতে শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মা স্বপ্না খাতুন নামের এক নারী। ওই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসানহাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনে শিকার স্বপ্না খাতুন (২২) হারাতে বসেছেন তার বাম চক্ষুটি। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসানহাটি গ্রামের পূর্বপাড়ার মনিরুলের স্ত্রী। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইসলামি চক্ষু হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
নির্যাতনের শিকার স্বপ্না খাতুন ও তার পরিবারের নিকট থেকে জানা গেছে, শনিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসানহাটি গ্রামের পূর্বপাড়ার মনিরুলের ছেলে পিয়াস (৫) একই এলাকার জলিলের মেয়ে সুন্দরী খাতুনের (৬) সাথে খেলা খেলছিল। এ সময় কোন কারণে পিয়াস ও সুন্দরী খাতুন মারামারি করে। পরে সুন্দরী খাতুন তার বাবা জলিলের কাছে নালিশ করে। এতে জলিল উত্তেজিত হয়ে পিয়াসকে মারধর করে। এ সময় পিয়াসের মা স্বপ্না খাতুন তার শিশু সন্তান পিয়াসের মারধরের প্রতিবাদ করলে জলিল উত্তেজিত হয়ে স্বপ্না খাতুনকে চড় থাপ্পরসহ বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে বাশের আঘাতে স্বপ্না খাতুনের বাম চক্ষুটি উপড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্বপ্না খাতুনের স্বামী মনিরুল বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন করেছে প্রতিবেশি জলিল। আমার স্ত্রী বাম চোখটি হারাতে বসেছে। মামলার বিষয়ে বললে তিনি বলেন, এখনি মামলার বিষয়ে ভাবছি না। আমার স্ত্রীক আগে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হলে মামলায় যাব বলে জানান তিনি।
জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। তিনি বলেন, তার সারা শরীরে আঘাত রয়েছে। তার বাম চোখেও আঘাত হয়েছে। তবে চোখের আঘাতটি গুরুতর। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইসলামী চক্ষু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক। এদিকে, রাত ১ টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আর্থিক সংকটের কারণে ঢাকাতে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি স্বপ্না খাতুনের পরিবার।