শিরোনাম :
Logo টেফনাফে অপার সম্ভাবনাময় সৌন্দর্য ও সীমান্ত বানিজ্য বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র Logo ছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন ঢাবির হলে রাজনীতির পক্ষে, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের প্রস্তাব Logo ‘কাজ শেষ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই’, গাজা দখল পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু Logo রিজার্ভ বেড়ে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলারে Logo যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ায় বিদেশ থেকে ফোনে তালাক Logo জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ Logo চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপের কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় বস্তু শনাক্ত Logo দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল Logo কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সেকেন্ড এ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ জারি Logo অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হল স্পেনের ঐতিহাসিক মসজিদ ক্যাথেড্রাল

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার অনুমতি না দিতে কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশ্যে ভোট দেয়া বেআইনী, কাউকে এ ধরনের কর্মকান্ডের অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। এটা বেআইনী, যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না, আপনারাও তা অ্যালাউ করবেন না। প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকান্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করবেন না। একেবারে চৌকিদার থেকে সেনা বাহিনীর কেউ বাদ থাকবে না। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত থাকবেন। জীবন, মালামাল নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। আপনার অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে আসতে পারবে কি না, কেন্দ্রে গেলেই তো ভোট দেবো এ রকমও প্রশ্ন আসতেছে। এটা আপনাদের বিষয়। এর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। দরকার হলে আরো ব্যবস্থা নেব যাতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরও যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্ল¬ানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান সম্মান ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা টেলিভিশনে দেখা যায়, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত তার কাজটা করেন। তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কথা নয়। নির্বাচনী আইন ফলো করলে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা রয়েছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোর করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।’
ইসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেফনাফে অপার সম্ভাবনাময় সৌন্দর্য ও সীমান্ত বানিজ্য বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার অনুমতি না দিতে কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশ্যে ভোট দেয়া বেআইনী, কাউকে এ ধরনের কর্মকান্ডের অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। এটা বেআইনী, যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না, আপনারাও তা অ্যালাউ করবেন না। প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকান্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করবেন না। একেবারে চৌকিদার থেকে সেনা বাহিনীর কেউ বাদ থাকবে না। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত থাকবেন। জীবন, মালামাল নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। আপনার অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে আসতে পারবে কি না, কেন্দ্রে গেলেই তো ভোট দেবো এ রকমও প্রশ্ন আসতেছে। এটা আপনাদের বিষয়। এর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। দরকার হলে আরো ব্যবস্থা নেব যাতে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরও যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্ল¬ানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান সম্মান ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা টেলিভিশনে দেখা যায়, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত তার কাজটা করেন। তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কথা নয়। নির্বাচনী আইন ফলো করলে নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা রয়েছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোর করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।’
ইসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।