সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​

আপিলে স্থগিত বা বাতিল না হলে দন্ডপ্রাপ্তরা নির্বাচনের যোগ্য নয় : হাইকোর্ট

  • আপডেট সময় : ০৫:০০:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে বিচারিক আদালতে কোনো ব্যক্তির দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদে সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) হলে ওই দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলাকালে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মত দিয়েছে হাইকোর্ট।
আপিলে সেই দন্ড বাতিল বা স্থগিত হলেই কেবল সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া দন্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে পাঁচ বিএনপি নেতার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়ার সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ মত দেন।
এ মামলার আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (২) (ঘ) অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দন্ড হলে সেই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যতক্ষণ না, আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে জামিন না দেয়।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই পাঁচ বিএনপি নেতা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমানউল্লা আমান, বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, আব্দুল ওহাব ও মশিউর রহমান।
আদালতে আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী।
ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম। মশিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গতকাল এই পাঁচ নেতার দন্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করায় ওয়াদুদ ভুঁইয়াকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোট ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করে ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল জামিন লাভ করেন।
এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করে মো. আবদুল ওহাবকে যশোর স্পেশাল জজ গত বছরের ৩০ অক্টোবর ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ত্রিশ হাজার টাকার জরিমানা করে রায় দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করে ৬ ডিসেম্বর জামিন নিয়েছেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রায় ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকার অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুন্ডু) আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে পৃথক ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরবর্তীতে তিনি আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।
২০০৮ সালের ২৫ মে দুর্নীতির মামলায় মোট ১৩ বছরের দন্ড দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্ট থেকে পরে তিনি জামিন নেন।
আমান উল্লাহ আমানকে দুর্নীতির মামলায় ২০০৭ সালের ২১ জুন বিচারিক আদালত ১৩ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

আপিলে স্থগিত বা বাতিল না হলে দন্ডপ্রাপ্তরা নির্বাচনের যোগ্য নয় : হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০৫:০০:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে বিচারিক আদালতে কোনো ব্যক্তির দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদে সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) হলে ওই দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলাকালে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মত দিয়েছে হাইকোর্ট।
আপিলে সেই দন্ড বাতিল বা স্থগিত হলেই কেবল সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া দন্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে পাঁচ বিএনপি নেতার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়ার সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ মত দেন।
এ মামলার আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (২) (ঘ) অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দন্ড হলে সেই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যতক্ষণ না, আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে জামিন না দেয়।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই পাঁচ বিএনপি নেতা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমানউল্লা আমান, বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, আব্দুল ওহাব ও মশিউর রহমান।
আদালতে আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী।
ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম। মশিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গতকাল এই পাঁচ নেতার দন্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, তথ্য গোপন ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করায় ওয়াদুদ ভুঁইয়াকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোট ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করে ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল জামিন লাভ করেন।
এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করে মো. আবদুল ওহাবকে যশোর স্পেশাল জজ গত বছরের ৩০ অক্টোবর ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ত্রিশ হাজার টাকার জরিমানা করে রায় দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আপিল করে ৬ ডিসেম্বর জামিন নিয়েছেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রায় ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকার অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুন্ডু) আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে পৃথক ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরবর্তীতে তিনি আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।
২০০৮ সালের ২৫ মে দুর্নীতির মামলায় মোট ১৩ বছরের দন্ড দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্ট থেকে পরে তিনি জামিন নেন।
আমান উল্লাহ আমানকে দুর্নীতির মামলায় ২০০৭ সালের ২১ জুন বিচারিক আদালত ১৩ বছরের সাজা দেন। পরে তিনি আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।