মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

‘মানবতা বিরোধী অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত মিয়নমারের সামরিক কর্মকর্তারা : অ্যামনেস্টি

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত’ হামলার নেতৃত্ব দেয়ায় দেশটির সেনা প্রধান ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ‘মানবতা বিরোধী অপরাধে’ অভিযুক্ত করে তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবী জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবাধিকার সংস্থাটির জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
রাখাইন রাজ্যে সামরিক দমনপীড়নের কারণে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ভয়াবহ ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, তারা মুসলিম জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। এরা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায়।
কিন্তু এ্যামনেস্টির একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ও অপর ১২ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা ও দমন অভিযানে সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সাথে সুপরিকল্পতভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূলে এ দমন অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আইনবহির্ভূতভাবে শিশুসহ কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে।’
প্রতিবেদনটিতে আরো অভিযোগ করা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ রোহিঙ্গাদের বাজার ও ফসলী ক্ষেত জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের অনাহারে থাকতে হয়েছে এবং তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই অপরাধগুলোকে আর্ন্তর্জাতিক আইনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।’
কোন কোন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ও সীমান্ত রক্ষী নৃশংসতায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

‘মানবতা বিরোধী অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত মিয়নমারের সামরিক কর্মকর্তারা : অ্যামনেস্টি

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত’ হামলার নেতৃত্ব দেয়ায় দেশটির সেনা প্রধান ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ‘মানবতা বিরোধী অপরাধে’ অভিযুক্ত করে তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবী জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবাধিকার সংস্থাটির জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
রাখাইন রাজ্যে সামরিক দমনপীড়নের কারণে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ভয়াবহ ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, তারা মুসলিম জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। এরা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায়।
কিন্তু এ্যামনেস্টির একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ও অপর ১২ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা ও দমন অভিযানে সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সাথে সুপরিকল্পতভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূলে এ দমন অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আইনবহির্ভূতভাবে শিশুসহ কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে।’
প্রতিবেদনটিতে আরো অভিযোগ করা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ রোহিঙ্গাদের বাজার ও ফসলী ক্ষেত জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের অনাহারে থাকতে হয়েছে এবং তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই অপরাধগুলোকে আর্ন্তর্জাতিক আইনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।’
কোন কোন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ও সীমান্ত রক্ষী নৃশংসতায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।