নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলে না থাকলে এভাবে বাড়ি হারাতে হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, আমার বাড়ি নিয়ে গেছেন, আমাদের খরিদ করা বাড়ি, প্রাইভেট পারসন থেকে নেওয়া, সরকারের সম্পত্তি না। পুলিশ পাঠিয়ে নিয়ে গেলেন, কোনো নোটিশ দিলেন না, কোর্টে কোনো অর্ডার নেই। কেন? আমি বিরোধী দল করি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের ‘দুর্নীতির শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করবে বলে জানান মওদুদ আহমদ।
এ সরকার তো শেষ সরকার নয়, এই সরকারকে একদিন বিদায় নিতে হবে উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকারের আমলে যত দুর্নীতি হয়েছে, ইনশাআল্লাহ তাদের দুর্নীতির ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি তাদের ‘মদদপুষ্ট’ ব্যবসায়ী, এমনকি জেলা পর্যায়ের নেতাদের সবার ‘দুর্নীতির হিসাব’ সেখানে থাকবে এবং সেদিন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে হুমকি দেন এই বিএনপি নেতা।
মওদুদ বলেন, কোনো জবাবদিহি নেই এই সরকারের, কোনো রকমের কোনো মনিটরিং নেই। যত বড় বড় প্রকল্প তত হাজার হাজার কোটি টাকা, যত বড় বড় প্রকল্প তত বড় বড় কমিশন। যত বড় বড় কমিশন তত বড় বড় ঘুষ।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থার সময় ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলোর একটিও এখন নেই। আর আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে তখন চারটি মামলা ছিল, তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে ৩২টি মামলা। আমার যে আগামী বইটা বের হবে, তাতে সব পাবেন।
তিনি বলেন, আমি এই সরকারের আমলে দুবার জেলে গেছি। অনেকে বলে মওদুদ সাহেব জেলে যেতে চায় না। জেল আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। আমি আটবার জেল খেটেছি। ১৯৫৫ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় আমি প্রথম জেলে যাই। সুতরাং জেলকে আমাদের ভয় করার কিছু নেই।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।