শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

মঙ্গলে ফের যান পাঠাবে নাসা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মঙ্গলে পরবর্তী মিশনের জন্য তৈরি হচ্ছে নাসা। মিশনের নাম ইনসাইট।
২০১৮ সালে মিশনটি শুরু হবে। মঙ্গলকে আরও গভীরভাবে পরীক্ষা করতে ইনসাইট কাজ করবে বলে নাসা সূত্রে জানানো হয়েছে। ইনসাইট (InSight) এর সম্পূর্ণ কথা ইন্টিরিয়র এক্সপ্লোশন ইউজিং সেইসমিক ইনভেস্টিগেশনস, জিওডেসি অ্যান্ড হিট ট্রান্সপোর্ট৷ পরের বছর ৮ মে ক্যার্লিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স থেকে মিশনটি শুরু হওয়ার কথা৷ মঙ্গলে যানটি নামবে অক্টোবর নাগাদ৷ পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহগুলি কীভাবে তৈরি হল, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা হবে এই মিশনে৷

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ব্রুস বানের্ড একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন৷ সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩ বিলিয়ন বছরে পৃথিবীতে যতটা পরিবর্তন হয়েছে, মঙ্গলে হয়নি৷ মঙ্গলে তাই অনেক প্রমাণ সঞ্চিত রয়েছে৷ তাই আমাদের গ্রহের থেকে গ্রহের শৈশব অবস্থা মঙ্গলেই ধরা পড়বে বেশি৷

২০৩০ সালে মঙ্গলে মানুষ পাঠাবে নাসা৷ তাই তার আগে গ্রহটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চাইছে তারা৷ এরপর রোবোটিক পরীক্ষা হবে৷ তারপর মঙ্গলে মানুষ পাঠানো হবে৷ মঙ্গলের বিষুবরেখা বরাবর একটি স্টেশনারি ল্যান্ডার স্থাপন করবে নাসা৷ এর দৈর্ঘ্য ৬ মিটার৷ ল্যান্ডারে থাকবে ২টি সোলার প্যানেল৷ কাগজের পাখার মতো সেগুলি কাজ করবে৷ অবতরণের এক সপ্তাহ পর মঙ্গলের মাটিতে পাকাপাকিভাবে ২টি যন্ত্র স্থাপন করবে নাসা৷

২০১৬ সালের মার্চে এই মিশনটি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু নাসা সেটি পিছিয়ে দেয়৷ লেন্ডারের মুখ্য সায়েন্স ইনস্ট্রুমেন্টের ভ্যাকুয়ম লিক নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছিল৷ এবার সেটি তৈরি হয়ে গেছে ও তার পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়ে গেছে৷ অন্য যন্ত্রপাতির পরীক্ষাও শেষ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রজেক্টের বাজেট বেড়ে যায়৷ আগে এর বাজেট ছিল ৬৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

মঙ্গলে ফের যান পাঠাবে নাসা !

আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মঙ্গলে পরবর্তী মিশনের জন্য তৈরি হচ্ছে নাসা। মিশনের নাম ইনসাইট।
২০১৮ সালে মিশনটি শুরু হবে। মঙ্গলকে আরও গভীরভাবে পরীক্ষা করতে ইনসাইট কাজ করবে বলে নাসা সূত্রে জানানো হয়েছে। ইনসাইট (InSight) এর সম্পূর্ণ কথা ইন্টিরিয়র এক্সপ্লোশন ইউজিং সেইসমিক ইনভেস্টিগেশনস, জিওডেসি অ্যান্ড হিট ট্রান্সপোর্ট৷ পরের বছর ৮ মে ক্যার্লিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ এয়ার ফোর্স থেকে মিশনটি শুরু হওয়ার কথা৷ মঙ্গলে যানটি নামবে অক্টোবর নাগাদ৷ পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহগুলি কীভাবে তৈরি হল, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা হবে এই মিশনে৷

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ব্রুস বানের্ড একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন৷ সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩ বিলিয়ন বছরে পৃথিবীতে যতটা পরিবর্তন হয়েছে, মঙ্গলে হয়নি৷ মঙ্গলে তাই অনেক প্রমাণ সঞ্চিত রয়েছে৷ তাই আমাদের গ্রহের থেকে গ্রহের শৈশব অবস্থা মঙ্গলেই ধরা পড়বে বেশি৷

২০৩০ সালে মঙ্গলে মানুষ পাঠাবে নাসা৷ তাই তার আগে গ্রহটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চাইছে তারা৷ এরপর রোবোটিক পরীক্ষা হবে৷ তারপর মঙ্গলে মানুষ পাঠানো হবে৷ মঙ্গলের বিষুবরেখা বরাবর একটি স্টেশনারি ল্যান্ডার স্থাপন করবে নাসা৷ এর দৈর্ঘ্য ৬ মিটার৷ ল্যান্ডারে থাকবে ২টি সোলার প্যানেল৷ কাগজের পাখার মতো সেগুলি কাজ করবে৷ অবতরণের এক সপ্তাহ পর মঙ্গলের মাটিতে পাকাপাকিভাবে ২টি যন্ত্র স্থাপন করবে নাসা৷

২০১৬ সালের মার্চে এই মিশনটি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু নাসা সেটি পিছিয়ে দেয়৷ লেন্ডারের মুখ্য সায়েন্স ইনস্ট্রুমেন্টের ভ্যাকুয়ম লিক নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছিল৷ এবার সেটি তৈরি হয়ে গেছে ও তার পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়ে গেছে৷ অন্য যন্ত্রপাতির পরীক্ষাও শেষ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রজেক্টের বাজেট বেড়ে যায়৷ আগে এর বাজেট ছিল ৬৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।