সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু

ঠেঙ্গারচরে রাখা হবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া রোহিঙ্গাদের দলে দলে পালিয়ে আসার করুণ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, মিয়ানমার যেভাবে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে, আমরা সেভাবে তাদের তাড়িয়ে দিতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের তাড়িয়ে দিতে পারেননি।

তিনি মানববিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আমরা তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেব, খাদ্য দেব, চিকিৎসা দেব। একইসাথে বিশ্ববাসীকে সাথে নিয়ে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেব।

জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে গতকাল রবিবারের প্রশ্নোত্তর পর্বে কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সরেজমিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যেভাবে করুন অবস্থায় এদেশে প্রবেশ করছেন, তার বিবরণ দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা এই অবস্থায় চুপ করে থাকেননি। যেভাবে মিয়ানমারের লোক দলে দলে পালিয়ে আসছে আমরা যদি তাদের কট্রোল করতাম তাহলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হত। আমরা সেটা পারি নাই।

মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের কাছে ছুটে গেছি। কক্সবাজারসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একসাথে থাকার ব্যবস্থা করব। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উখিয়ায় ২ হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করে সেই জায়গায় তাদেরকে আমরা অস্থায়ীভাবে রাখব। দেশে ফিরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মানবিক দিক থেকে আমরা এসব করব। এতে সরকারের কোনো প্রকার কৃপণতা নাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা হাতিয়ার ঠেঙ্গারচর, যেটাকে প্রধানমন্ত্রী ভাষাণচর নাম দিয়েছেন সেখানে ১০ হাজার একর জমি রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে সেখানে রাখব। তারা বার্মার নাগরিক। যত দিন পর্যন্ত তারা দেশে ফিরে যেতে না পারবেন, ততদিন তারা সেখানে থাকতে পারবেন।

এসময় মোফাজ্জল হোসেন মায়া আরও বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না। রাজনীতি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না। এই সময় সবার উচিত সম্মিলিতভাবে সমস্যা মোকাবেলা করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

ঠেঙ্গারচরে রাখা হবে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী !

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া রোহিঙ্গাদের দলে দলে পালিয়ে আসার করুণ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, মিয়ানমার যেভাবে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে, আমরা সেভাবে তাদের তাড়িয়ে দিতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের তাড়িয়ে দিতে পারেননি।

তিনি মানববিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আমরা তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেব, খাদ্য দেব, চিকিৎসা দেব। একইসাথে বিশ্ববাসীকে সাথে নিয়ে, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেব।

জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে গতকাল রবিবারের প্রশ্নোত্তর পর্বে কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সরেজমিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যেভাবে করুন অবস্থায় এদেশে প্রবেশ করছেন, তার বিবরণ দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা এই অবস্থায় চুপ করে থাকেননি। যেভাবে মিয়ানমারের লোক দলে দলে পালিয়ে আসছে আমরা যদি তাদের কট্রোল করতাম তাহলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হত। আমরা সেটা পারি নাই।

মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের কাছে ছুটে গেছি। কক্সবাজারসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একসাথে থাকার ব্যবস্থা করব। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উখিয়ায় ২ হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করে সেই জায়গায় তাদেরকে আমরা অস্থায়ীভাবে রাখব। দেশে ফিরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মানবিক দিক থেকে আমরা এসব করব। এতে সরকারের কোনো প্রকার কৃপণতা নাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা হাতিয়ার ঠেঙ্গারচর, যেটাকে প্রধানমন্ত্রী ভাষাণচর নাম দিয়েছেন সেখানে ১০ হাজার একর জমি রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে সেখানে রাখব। তারা বার্মার নাগরিক। যত দিন পর্যন্ত তারা দেশে ফিরে যেতে না পারবেন, ততদিন তারা সেখানে থাকতে পারবেন।

এসময় মোফাজ্জল হোসেন মায়া আরও বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না। রাজনীতি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না। এই সময় সবার উচিত সম্মিলিতভাবে সমস্যা মোকাবেলা করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর।