শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার উপরে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে (শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায়) ১০ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪৮টি  ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রামের ৩ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পানিবন্দি মানুষেরা।
জেলার ২৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।  গবাদি পশুর খাদ্যের সংকটে বিপাকে পড়েছে খামারীরা। জেলার বন্যা কবলিত ৫ উপজেলায় প্রায় ৪শ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর (সিরাজগঞ্জ- কামারখন্দ) আসনের এমপি ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এবং জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে  ত্রাণ বিতরন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ১৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে আর শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে ৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত হোসেন জানান, পানির প্রবল ¯্রােতে ওই ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া, সুতারানা, বদুয়ারপাড়া, ভাঙ্গারছেও গ্রামের বেশকটি পরিবারের ঘর দুয়ার ভেসে গেছে। বন্যাকবলিত হয়েছে আরও ৭ টি গ্রাম। বন্যায় তলিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী ঢেকুরিয়া হাট।
নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বকুল সরকার জানান, বন্যায় পুরো চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নাটুয়ারপাড়া কলেজসহ এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে কাজীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার একেএম শাহ আলম মোল্লা জানান, বন্যা কবলিত ৭ টি ইউনিয়নে চাল, নগদ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরন করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার উপরে

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০১৭

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে (শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায়) ১০ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪৮টি  ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রামের ৩ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পানিবন্দি মানুষেরা।
জেলার ২৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।  গবাদি পশুর খাদ্যের সংকটে বিপাকে পড়েছে খামারীরা। জেলার বন্যা কবলিত ৫ উপজেলায় প্রায় ৪শ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর (সিরাজগঞ্জ- কামারখন্দ) আসনের এমপি ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এবং জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে  ত্রাণ বিতরন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ১৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে আর শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে ৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত হোসেন জানান, পানির প্রবল ¯্রােতে ওই ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া, সুতারানা, বদুয়ারপাড়া, ভাঙ্গারছেও গ্রামের বেশকটি পরিবারের ঘর দুয়ার ভেসে গেছে। বন্যাকবলিত হয়েছে আরও ৭ টি গ্রাম। বন্যায় তলিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী ঢেকুরিয়া হাট।
নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বকুল সরকার জানান, বন্যায় পুরো চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নাটুয়ারপাড়া কলেজসহ এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে কাজীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার একেএম শাহ আলম মোল্লা জানান, বন্যা কবলিত ৭ টি ইউনিয়নে চাল, নগদ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরন করা হচ্ছে।