শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের রোডম্যাপের দাবিতে ‘মার্চ ফর ইকসু’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সমবেত হয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা। পরে সেখান থেকে একযোগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক খান, ইকসু গঠন আন্দোলনের বোরহান উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, সাজ্জাতুল্লাহ শেখসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা।
ছাত্র সংসদ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,
“চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ গঠন সহজ, কারণ তাদের গঠনতন্ত্রে এ সংক্রান্ত আইন আগে থেকেই আছে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনগত অনুমোদনের ঘাটতি রয়েছে। ছাত্রদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এই বিষয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব। তবে আইনগত কাঠামো ছাড়া সংসদ গঠন করলে বাজেট বরাদ্দ, দায়িত্ব ও কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর জন্য একটি কেন্দ্রীয় বাজেট ও প্রত্যেক সম্পাদকের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকে। এই বাজেট বরাদ্দের জন্য একটি লিগ্যাল সেটেলমেন্ট প্রয়োজন, যা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।”
তিনি আরও বলেন, “ইকসু গঠন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি এবং এ দাবি অবশ্যই পূরণ করা হবে। বর্তমান ইন্টারিম গভর্নমেন্ট কিছু আইন করেছে। পার্লামেন্টের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা না করে, সেই আইন অনুসারে আমরা একটি প্রতিনিধি দল গঠন করবো। এতে থাকবে শিক্ষক এবং ছাত্র প্রতিনিধি। তারা একত্রে কাজ করে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে ইকসুর জন্য একটি খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। এরপর সেটি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে এবং পরে ইউজিসিতে পাঠানো হবে। ইউজিসি থেকে অনুমোদন পেলে, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেটে যাবে এবং শেষপর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতির মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ আইন পাস হবে।”
এ বিষয়ে সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজকের এই ‘মার্চ ফর ইকসু’ একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়োজিত হয়েছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তিনি আমাদের নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের একটি আউটলাইন দিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নে কাজ করবে। আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।”
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কমিটি গঠনের ঘোষণা এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’

আপডেট সময় : ১০:৩৮:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের রোডম্যাপের দাবিতে ‘মার্চ ফর ইকসু’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সমবেত হয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা। পরে সেখান থেকে একযোগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক খান, ইকসু গঠন আন্দোলনের বোরহান উদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, সাজ্জাতুল্লাহ শেখসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা।
ছাত্র সংসদ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,
“চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ গঠন সহজ, কারণ তাদের গঠনতন্ত্রে এ সংক্রান্ত আইন আগে থেকেই আছে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনগত অনুমোদনের ঘাটতি রয়েছে। ছাত্রদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এই বিষয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব। তবে আইনগত কাঠামো ছাড়া সংসদ গঠন করলে বাজেট বরাদ্দ, দায়িত্ব ও কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর জন্য একটি কেন্দ্রীয় বাজেট ও প্রত্যেক সম্পাদকের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকে। এই বাজেট বরাদ্দের জন্য একটি লিগ্যাল সেটেলমেন্ট প্রয়োজন, যা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।”
তিনি আরও বলেন, “ইকসু গঠন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি এবং এ দাবি অবশ্যই পূরণ করা হবে। বর্তমান ইন্টারিম গভর্নমেন্ট কিছু আইন করেছে। পার্লামেন্টের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা না করে, সেই আইন অনুসারে আমরা একটি প্রতিনিধি দল গঠন করবো। এতে থাকবে শিক্ষক এবং ছাত্র প্রতিনিধি। তারা একত্রে কাজ করে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে ইকসুর জন্য একটি খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। এরপর সেটি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে এবং পরে ইউজিসিতে পাঠানো হবে। ইউজিসি থেকে অনুমোদন পেলে, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেটে যাবে এবং শেষপর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতির মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ আইন পাস হবে।”
এ বিষয়ে সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজকের এই ‘মার্চ ফর ইকসু’ একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়োজিত হয়েছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তিনি আমাদের নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের একটি আউটলাইন দিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নে কাজ করবে। আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।”
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কমিটি গঠনের ঘোষণা এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ইকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ