রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই : প্রধান বিচারপতি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় (যুদ্ধাপরাধ) আপিল বিভাগে ১০ শতাংশ ফাঁসি হয়।

রবিবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের  আপিল শুনানির তারিখ ধার্য করার সময় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

শুনানি কালে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে গেলে বলা হয় সব ফাঁসি। আমরা সবগুলোয় ফাঁসি দেই না। ২০ থেকে ২৫টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র একটি বা দুটিতে ফাঁসি দেই। বাতি অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয় না। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং আর সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাজাহান। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এরপর তিনি খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

অপতদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায়  খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক

আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই : প্রধান বিচারপতি !

আপডেট সময় : ০৫:০২:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় (যুদ্ধাপরাধ) আপিল বিভাগে ১০ শতাংশ ফাঁসি হয়।

রবিবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের  আপিল শুনানির তারিখ ধার্য করার সময় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

শুনানি কালে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে গেলে বলা হয় সব ফাঁসি। আমরা সবগুলোয় ফাঁসি দেই না। ২০ থেকে ২৫টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র একটি বা দুটিতে ফাঁসি দেই। বাতি অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয় না। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং আর সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাজাহান। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এরপর তিনি খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

অপতদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায়  খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।