শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে তিন মাসের শিশুকে বিক্রি, এলাকায় চাঞ্চল্য Logo বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির ১১৬তম জন্মদিন উদযাপিত! Logo সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo খুবিতে শুরু হচ্ছে ওংকার শৃণুতার পুনর্মিলনী ও আবৃত্তি উৎসব Logo সিরাজগঞ্জ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল হাই স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন Logo মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে কোপাল ছেলে Logo সাতক্ষীরা কলারোয়ায় সাবেক যুবদল নেতার আগ্রাসনে বিধবা নারীর বসতবাড়ি ভাঙচুর Logo চাঁদপুর পুরান বাজারে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ভারতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস বন্ধের আহ্বান ঢাকার! Logo ইবিতে প্রথম ট্যুরিস্ট ক্লাব নির্বাচন; নেতৃত্বে রিফাত ও ফেরদৌস

আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই : প্রধান বিচারপতি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় (যুদ্ধাপরাধ) আপিল বিভাগে ১০ শতাংশ ফাঁসি হয়।

রবিবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের  আপিল শুনানির তারিখ ধার্য করার সময় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

শুনানি কালে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে গেলে বলা হয় সব ফাঁসি। আমরা সবগুলোয় ফাঁসি দেই না। ২০ থেকে ২৫টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র একটি বা দুটিতে ফাঁসি দেই। বাতি অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয় না। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং আর সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাজাহান। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এরপর তিনি খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

অপতদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায়  খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে তিন মাসের শিশুকে বিক্রি, এলাকায় চাঞ্চল্য

আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই : প্রধান বিচারপতি !

আপডেট সময় : ০৫:০২:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় (যুদ্ধাপরাধ) আপিল বিভাগে ১০ শতাংশ ফাঁসি হয়।

রবিবার সকালে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের  আপিল শুনানির তারিখ ধার্য করার সময় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

শুনানি কালে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে গেলে বলা হয় সব ফাঁসি। আমরা সবগুলোয় ফাঁসি দেই না। ২০ থেকে ২৫টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র একটি বা দুটিতে ফাঁসি দেই। বাতি অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয় না। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ফাঁসি দেই।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং আর সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাজাহান। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এরপর তিনি খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

অপতদিকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায়  খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।