শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

গুগল সিইও’র পরিবার থাকেন দুই কামরার ঘরে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিরোনাম দেখে হয়তো অবাক হচ্ছেন! হওয়ারই কথা যে ব্যক্তির দৈনিক আয় চার কোটি টাকা তার পরিবার থাকেরন দুই কামরার কুড়ে ঘরে। হ্যাঁ সত্যিই তাই, সুন্দর পিচাই। একনামেই যাকে চেনে আজ গোটা বিশ্ব। ভারতের গর্ব সুন্দর আজ গুগলের প্রধান নির্বাহী।

যার দৈনিক আয় শুনলে আপনার চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার যোগাড় হবে। দিনে ৩.৮২কোটি টাকা আয় করেন সুন্দর। যেটি বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ২০০মিলিয়ন ডলারে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সুন্দর পিচাইয়ের আসল বাড়ি কোথায়? কিংবা ওনার বাবা মা কোথায় থাকেন?

গত ১২জুলাই ৪৫-এ পা দিলেন পিচাই। যে ছেলেটি আজ বছরে ২০০মিলিয়ন ডলারের মালিক তাঁর আদিবাড়ি চেন্নাইয়ে। আইআইটি খড়গপুরের এই ছাত্র আজ কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করলেও তাঁর বাবা মা কিন্তু আজও চেন্নাইয়ের ছোট্ট দুটি ঘরের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। বিলাসবহুল, আতিশয্যের কোনও ছায়াই আজও তাঁর বাবা মাকে ছুঁতে পারেনি। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার।

খড়গপুর থেকে পাশ করার পর আমেরিকা চলে আসেন পিচাই। সেখান থেকেই এমএস এবং এমবিএ ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেন। এরপর ২০০২ সালে গুগলে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে ২০১৫সালে গুগলের সিইও পদে বসেন তিনি।

পিচাইয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পিচাই ছোট থেকেই খুব লাজুক ছিলেন। খুব একটা কথাবার্তা কারোর সঙ্গেই বলতেন না। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি ছিলেন মেধাবী। ভারতের একেবারেই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পিচাই। তাঁর বাবার মাসিক আয় ছিল মাত্র ৩হাজার টাকা। তাঁদের অভাবের সংসার এতটাই ছিল যে একটি স্কুটার কিনতেও তাঁকে তিনমাস ধরে টাকা জমাতে হয়েছিল। পিচাইয়ের বাবাই ছিল তাঁর কাছে আদর্শ একজন ব্যক্তি। ছোট থেকেই সে বাবার মতনই হতে চাইতেন। বাবার সমস্ত আদেশ সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন।

তাঁর বাবা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই পিচাইয়ের প্রযুক্তি উপর একটা আলাদা চাহিদা ছিল। আর তাঁর বাবার কাজ নিয়েও পিচাইয়ের খুব কৌতুহল ছিল। সে বাবার থেকে কাজের সমস্ত খুঁটিনাটি জানতে চাইতেন। তাঁর বাবা আরও জানিয়েছেন, পিচাইয়ের স্মৃতিশক্তি অসাধারণ ছিল ছোট থেকেই। যেকোনও জিনিস একবার শুনলেই সে সহজে ভুলতোনা। সায়েন্সই ছিল তাঁর সবথেকে পছন্দের বিষয়।

পিচাই জানিয়েছেন, তিনি আজ যতটুকু সাফল্য পেয়েছেন, সেটি শুধু তাঁর বাবা মায়ের জন্যই। তিনি আরও জানান, তাঁর বাবা মা জীবনে অনেক আনন্দ, মজা, খুশি ত্যাগ করেছেন শুধু তাঁর জন্যই। কিন্তু আজ পিচাই বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হলেও তাঁর বাবা মা চেন্নাইয়ের বাড়ি ছেড়ে যেতে চান না। তাঁরা জানান, পিচাইয়ের ছেলেবেলাটা যে এখানেই কেটেছে। তাই ছেলের বড় হওয়ার এই জায়গা ছেড়ে তাঁরা পারবেন না অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে থাকতে।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

গুগল সিইও’র পরিবার থাকেন দুই কামরার ঘরে !

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শিরোনাম দেখে হয়তো অবাক হচ্ছেন! হওয়ারই কথা যে ব্যক্তির দৈনিক আয় চার কোটি টাকা তার পরিবার থাকেরন দুই কামরার কুড়ে ঘরে। হ্যাঁ সত্যিই তাই, সুন্দর পিচাই। একনামেই যাকে চেনে আজ গোটা বিশ্ব। ভারতের গর্ব সুন্দর আজ গুগলের প্রধান নির্বাহী।

যার দৈনিক আয় শুনলে আপনার চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার যোগাড় হবে। দিনে ৩.৮২কোটি টাকা আয় করেন সুন্দর। যেটি বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ২০০মিলিয়ন ডলারে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সুন্দর পিচাইয়ের আসল বাড়ি কোথায়? কিংবা ওনার বাবা মা কোথায় থাকেন?

গত ১২জুলাই ৪৫-এ পা দিলেন পিচাই। যে ছেলেটি আজ বছরে ২০০মিলিয়ন ডলারের মালিক তাঁর আদিবাড়ি চেন্নাইয়ে। আইআইটি খড়গপুরের এই ছাত্র আজ কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করলেও তাঁর বাবা মা কিন্তু আজও চেন্নাইয়ের ছোট্ট দুটি ঘরের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। বিলাসবহুল, আতিশয্যের কোনও ছায়াই আজও তাঁর বাবা মাকে ছুঁতে পারেনি। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার।

খড়গপুর থেকে পাশ করার পর আমেরিকা চলে আসেন পিচাই। সেখান থেকেই এমএস এবং এমবিএ ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেন। এরপর ২০০২ সালে গুগলে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে ২০১৫সালে গুগলের সিইও পদে বসেন তিনি।

পিচাইয়ের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পিচাই ছোট থেকেই খুব লাজুক ছিলেন। খুব একটা কথাবার্তা কারোর সঙ্গেই বলতেন না। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি ছিলেন মেধাবী। ভারতের একেবারেই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পিচাই। তাঁর বাবার মাসিক আয় ছিল মাত্র ৩হাজার টাকা। তাঁদের অভাবের সংসার এতটাই ছিল যে একটি স্কুটার কিনতেও তাঁকে তিনমাস ধরে টাকা জমাতে হয়েছিল। পিচাইয়ের বাবাই ছিল তাঁর কাছে আদর্শ একজন ব্যক্তি। ছোট থেকেই সে বাবার মতনই হতে চাইতেন। বাবার সমস্ত আদেশ সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন।

তাঁর বাবা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই পিচাইয়ের প্রযুক্তি উপর একটা আলাদা চাহিদা ছিল। আর তাঁর বাবার কাজ নিয়েও পিচাইয়ের খুব কৌতুহল ছিল। সে বাবার থেকে কাজের সমস্ত খুঁটিনাটি জানতে চাইতেন। তাঁর বাবা আরও জানিয়েছেন, পিচাইয়ের স্মৃতিশক্তি অসাধারণ ছিল ছোট থেকেই। যেকোনও জিনিস একবার শুনলেই সে সহজে ভুলতোনা। সায়েন্সই ছিল তাঁর সবথেকে পছন্দের বিষয়।

পিচাই জানিয়েছেন, তিনি আজ যতটুকু সাফল্য পেয়েছেন, সেটি শুধু তাঁর বাবা মায়ের জন্যই। তিনি আরও জানান, তাঁর বাবা মা জীবনে অনেক আনন্দ, মজা, খুশি ত্যাগ করেছেন শুধু তাঁর জন্যই। কিন্তু আজ পিচাই বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হলেও তাঁর বাবা মা চেন্নাইয়ের বাড়ি ছেড়ে যেতে চান না। তাঁরা জানান, পিচাইয়ের ছেলেবেলাটা যে এখানেই কেটেছে। তাই ছেলের বড় হওয়ার এই জায়গা ছেড়ে তাঁরা পারবেন না অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে থাকতে।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর