বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম : নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজন কারাগারে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন এবং ঠিকাদার মো. বাচ্চু মিয়া।

গতকাল রোববার দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরে পরই তাদেরকে আটক করে দুদক। এরপর বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তাসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন আসামির তালিকায়। অপর ৪৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইসি) কর্মকর্তারা।

সুনামগঞ্জে হাওর বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনকে গত ১৫ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে ২৮টি বাঁধ নির্মাণে ২৫কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে দুদক।

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী, দুজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, আটজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ৬ জন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই ঠিকাদাররা কোথাও ১৫ শতাংশ, কোথাও ২০ শতাংশ আবার কোথাও কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বিল বাবদ কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায় বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম : নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজন কারাগারে !

আপডেট সময় : ১১:২০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নির্বাহী কর্মকর্তাসহ দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরখাস্তকৃত সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন এবং ঠিকাদার মো. বাচ্চু মিয়া।

গতকাল রোববার দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরে পরই তাদেরকে আটক করে দুদক। এরপর বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তাসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন আসামির তালিকায়। অপর ৪৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইসি) কর্মকর্তারা।

সুনামগঞ্জে হাওর বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনকে গত ১৫ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে ২৮টি বাঁধ নির্মাণে ২৫কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া সিলেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে দুদক।

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী, দুজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, আটজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ৬ জন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই ঠিকাদাররা কোথাও ১৫ শতাংশ, কোথাও ২০ শতাংশ আবার কোথাও কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বিল বাবদ কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায় বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া যায়।