সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে ফাতেমাতুজ জহুরা কওমীয়া মহিলা মাদ্রাসায় নিয়ম বহির্ভুত হস্তক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ উত্তর বানিয়াগাতী গ্রামে উল্লেখিত মাদ্রাসাটি পৈত্রিক জায়গার উপর নিজস্ব অর্থায়ন সহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠির সহযোগীতায় ২০০০ সনে গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলি আশরাফ। মাদ্রাসায় একটি ৩ তলা ভবন, পরিচালকের বাসস্থান ২২ শতাংশ জায়গার উপর আর সি সি বাউন্ডারী ওয়াল করে সর্বোচ্চ ক্লাশ দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত উত্তীর্ন হয়েছে। মাদ্রাসাটি বেফাক বোর্ডের অধীন বলে জানায়, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে আকিজ মটর্স এর চেয়ারম্যানের সাথে তার নিজ গ্রামে তাবলীগ জামাতের মধ্যেদিয়ে পরিচয় হয়। এক পর্য্যায়ে চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন মিলন সরেজমিনে মাদ্রাসা পরিদর্শনে সন্তোস প্রকাশ করেন। এ সময়ে বৃহৎ আকারে মাদ্রাসা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানের আশ^াসও দেন তিনি।
তার এই আশ^াসে কমটিরি রেজুলেশন অনুযায়ী সমস্ত স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়। কার্য্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউসুফিয়া কওমী ক্যাডেট মাদ্রাসায় ছাত্রীদের স্থানান্তর এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য বাসা ভাড়া করে মাদ্রাসার কার্য্যক্রম ঠিক রাখা হয়। অন্যদিকে আকিজ মটর্স এর চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৬ তলা ভবনের কাজ চলতে থাকে। ইতি মধ্যেই ৪র্থ তলা পর্যন্ত নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়। অবশিষ্ট ২তলা নির্মানের পূবেই আকিজ মটর্স এর চেয়ারম্যান নিজের মাদ্রাসা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও তার কোম্পানীর লোকজনদের নিয়ে কমিটি গঠনের চেষ্টা করে। তাছাড়াও মাদ্রাসাটিতে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী থাকা সত্তেও গত ৫ মে ২০১৭ দৈনিক ইনকিলাব প্রত্রিকায় আকিজ সেন্টারের নামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ এলাকা বাসির মধ্যে মারাতœক উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে। তাছাড়াও স্থান পরির্বতনে আবাসন সংকট সহ শিক্ষার্থীদের পড়াশনায় বিঘœতার সৃষ্টির আশংকাও প্রকাশ করেছে এলাকার সচেতন মহল।
উল্লেখিত ঘটনায় প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলি আশরাফ ইতি মধ্যেই জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসক, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয় (শিক্ষা ও কল্যান শাখা) হতে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিদের্শ প্রদান করেন।
(স্মারক নং-০৫.৪৩.৮৮০০.০০৮.২৭.০০১.১৬ তারিখ ২৫ মে ২০১৭)।



































