মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

মেহেরপুর গাংনীর তকিরুল হত্যা মামলা স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর  সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের তকিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী একই গ্রামের আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা টি এম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই দন্ডাদেশ দেন। মামলার অপর ১০ আসামি হাড়িয়াদহ গ্রামের ইনফারুল, আত্তাহার, মাহাতাব, আব্বাস, খবির, মহিদুল ও নূরু ফকির এবং ধানখোলা গ্রামের মাসুদ, বজলু ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের খয়েরউদ্দিনের ছেলে তকিরুল ইসলাম রাতের খাবার খেয়ে রাত ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন বেলা ১১ টার দিকে হাড়িয়াদহ গ্রামের মাঠের মধ্যে তকিরুল ইসলামের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় ও তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই দিন নিহত তকিরুল ইসলামের বড়ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে হাড়িয়াদহ গ্রামের কাবাতুল্লাহ’র ছেলে আব্দুল জব্বার ও আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বেলিয়ারাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এস.আই শফিকুল ইসলাম ও এস. আই গোলাম মোহাম্মদ মোট ১২ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এদিন আসামি আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে ওই সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজি শহিদুল এবং আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন ও অ্যাডভোকেট রমজান আলী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

মেহেরপুর গাংনীর তকিরুল হত্যা মামলা স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭

মেহেরপুর  সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের তকিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী একই গ্রামের আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা টি এম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই দন্ডাদেশ দেন। মামলার অপর ১০ আসামি হাড়িয়াদহ গ্রামের ইনফারুল, আত্তাহার, মাহাতাব, আব্বাস, খবির, মহিদুল ও নূরু ফকির এবং ধানখোলা গ্রামের মাসুদ, বজলু ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের খয়েরউদ্দিনের ছেলে তকিরুল ইসলাম রাতের খাবার খেয়ে রাত ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন বেলা ১১ টার দিকে হাড়িয়াদহ গ্রামের মাঠের মধ্যে তকিরুল ইসলামের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় ও তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই দিন নিহত তকিরুল ইসলামের বড়ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে হাড়িয়াদহ গ্রামের কাবাতুল্লাহ’র ছেলে আব্দুল জব্বার ও আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বেলিয়ারাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এস.আই শফিকুল ইসলাম ও এস. আই গোলাম মোহাম্মদ মোট ১২ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এদিন আসামি আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে ওই সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজি শহিদুল এবং আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন ও অ্যাডভোকেট রমজান আলী।