শিরোনাম :
Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব Logo ভোলার মুহাদ্দিস নোমানী হত্যার বিচারে ইবিতে মানববন্ধন Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা Logo আজকের ৪টি দ্বিতল বাসের যাত্রা নবদিগন্তের সূচনা : ইবি উপাচার্য Logo সিরাজগঞ্জে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধন Logo শেখহাসিনার ছাত্রলীগ যেই দুঃসাহস করতে পারেনি, সেই দুঃসাহস ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে এখন ছাত্রদল করা শুরু করেছে, পঞ্চগড়ে -সারজিস Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১

মেহেরপুর গাংনীর তকিরুল হত্যা মামলা স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর  সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের তকিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী একই গ্রামের আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা টি এম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই দন্ডাদেশ দেন। মামলার অপর ১০ আসামি হাড়িয়াদহ গ্রামের ইনফারুল, আত্তাহার, মাহাতাব, আব্বাস, খবির, মহিদুল ও নূরু ফকির এবং ধানখোলা গ্রামের মাসুদ, বজলু ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের খয়েরউদ্দিনের ছেলে তকিরুল ইসলাম রাতের খাবার খেয়ে রাত ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন বেলা ১১ টার দিকে হাড়িয়াদহ গ্রামের মাঠের মধ্যে তকিরুল ইসলামের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় ও তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই দিন নিহত তকিরুল ইসলামের বড়ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে হাড়িয়াদহ গ্রামের কাবাতুল্লাহ’র ছেলে আব্দুল জব্বার ও আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বেলিয়ারাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এস.আই শফিকুল ইসলাম ও এস. আই গোলাম মোহাম্মদ মোট ১২ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এদিন আসামি আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে ওই সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজি শহিদুল এবং আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন ও অ্যাডভোকেট রমজান আলী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

মেহেরপুর গাংনীর তকিরুল হত্যা মামলা স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭

মেহেরপুর  সংবাদদাতা, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের তকিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী একই গ্রামের আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা টি এম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই দন্ডাদেশ দেন। মামলার অপর ১০ আসামি হাড়িয়াদহ গ্রামের ইনফারুল, আত্তাহার, মাহাতাব, আব্বাস, খবির, মহিদুল ও নূরু ফকির এবং ধানখোলা গ্রামের মাসুদ, বজলু ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের খয়েরউদ্দিনের ছেলে তকিরুল ইসলাম রাতের খাবার খেয়ে রাত ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন বেলা ১১ টার দিকে হাড়িয়াদহ গ্রামের মাঠের মধ্যে তকিরুল ইসলামের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় ও তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই দিন নিহত তকিরুল ইসলামের বড়ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে হাড়িয়াদহ গ্রামের কাবাতুল্লাহ’র ছেলে আব্দুল জব্বার ও আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বেলিয়ারাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এস.আই শফিকুল ইসলাম ও এস. আই গোলাম মোহাম্মদ মোট ১২ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এদিন আসামি আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে ওই সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজি শহিদুল এবং আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন ও অ্যাডভোকেট রমজান আলী।