শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস সংসদে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:১০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ক্রমে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংসদের সম্পূরক কার্যসূচি অনুযায়ী সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রস্তাবক্রমে বিলটি কণ্ঠভোটে প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল-২০১৭ সংশোধিত আকারে সংসদে পাস হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ১৯৭৩ রহিত করে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

দশম সংসদের ১৫তম অধিবেশনের গতকাল সোমবারের বৈঠকে এসব বিল প্রত্যাহর, পাস ও উত্থাপিত হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল-২০১৭ সংশোধিত আকারে পাস করার প্রস্তাব করেন। বিলে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম ও সেলিম উদ্দিনের ২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। অন্য প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করার বিধান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের কার্যালয় ও কেন্দ্র, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী, কাউন্সিল থেকে দেয়া নির্দেশনা প্রতিফলনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। এছাড়া বিলে বারিকে পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল গঠন, বাজেট প্রণয়ন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা পরিচালনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ১৯৭৩ রহিত করে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের প্রস্তাব করে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয় যে, তা এ বিলে বিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া বিলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ, পরিচালক, উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, কমিটি গঠন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, প্রতিবেদন পেশ, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ, ফেলোশীপ প্রদান, জনসেবক, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস সংসদে !

আপডেট সময় : ১০:৫৬:১০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ক্রমে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংসদের সম্পূরক কার্যসূচি অনুযায়ী সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রস্তাবক্রমে বিলটি কণ্ঠভোটে প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল-২০১৭ সংশোধিত আকারে সংসদে পাস হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ১৯৭৩ রহিত করে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

দশম সংসদের ১৫তম অধিবেশনের গতকাল সোমবারের বৈঠকে এসব বিল প্রত্যাহর, পাস ও উত্থাপিত হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল-২০১৭ সংশোধিত আকারে পাস করার প্রস্তাব করেন। বিলে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম ও সেলিম উদ্দিনের ২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। অন্য প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করার বিধান করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটের কার্যালয় ও কেন্দ্র, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী, কাউন্সিল থেকে দেয়া নির্দেশনা প্রতিফলনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। এছাড়া বিলে বারিকে পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল গঠন, বাজেট প্রণয়ন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা পরিচালনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ১৯৭৩ রহিত করে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের প্রস্তাব করে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয় যে, তা এ বিলে বিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া বিলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ, পরিচালক, উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, কমিটি গঠন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, প্রতিবেদন পেশ, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ, ফেলোশীপ প্রদান, জনসেবক, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।