শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি এখন স্মৃতি জাদুঘর !

  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:১২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৮ মে ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর কাছারী বাড়িতে ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে ।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালনের কর্মসূচী গ্রহন করেছে ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত জমিদারী দেখারশুনার জন্য শাহজাদপুর কাছারী বাড়িতে আসতেন এবং সাময়িকভাবে এখানে বসবাস করতেন ।

কিন্তু শাহজাদপুর তার এতই ভাল লেগেছিল যে, জমিদারী কাজ ছাড়াও বহুবার তিনি এখানে এসেছেন। রচনা করেছেন গান, কবিতা ছোট গল্প ও উপন্যাস প্রভৃতি ।

তৌজির অন্তর্গত ডিহি শাহজাদপুরের জমিদারী একদা নাটোরের রাণী ভবানীর জমিদারীর একটি অংশ ছিল । ১৮৪০ সালে শাহজাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর তা মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় কিনে নেন । জমিদারীর সাথে সাথে শাহজাদপুর কাছারী বাড়িটিও ঠাকুর পরিবারের হস্দগত হয় ।
শাহজাদপুর কাছারি বাড়ি ইন্দো- ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত একটি দ্বিতল ভবন ।

ভবনটির দৈর্ঘ ২৬ দশমিক ৮৫ মিটার, প্রস্থ ১০ দশমিক ২০ মিটার এবং উচ্চতায় ৮ দশমিক ৭৪ মিটার । ভবনটির প্রতি তলায় সিড়িঘর ব্যতীত বিভিন্ন আকারের মোট সাতটি করে কক্ষ রয়েছে ।
ভবনটির উত্তর ও দক্ষিনে একই মাপের প্রশস্ত বাড়ান্দা রয়েছে । বারান্দায় গোলাকৃতির জোড়া মাপের থামের উপরাংশে অলংকরন , বড় মাপের দরজা, জানালা ও ছাদের উপরের প্যারাপেট দেয়ালে পোড়ামাটির কাজ বিশেষভাবে লক্ষণীয় । ১৯৬৯ সালে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর অত্যান্ত জড়াজীর্ণ অবস্থায় ভবনটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষনা করে ।

এক তলা দোতলার ছাদ পুনঃনির্মান সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে ভবনটি রবীন্দ্র জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র ও এ বাড়িতে প্রাপ্ত আসবাবপত্র নিয়ে একটি স্মৃতি জাদুঘরের রুপ দেয়া হয়েছে ।

এই জাদুঘরের আসবাবপত্র সবই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার্য । আছে কবি গুরুর পিয়ানো, পাল্কি, খাট, পালং, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি । রবীন্দ্র কাছারী বাড়ি প্রঙ্গনে তৈরী করা হয়েছে অডিটরিয়াম সেখানে প্রততত্ত্ব বিভাগের দপ্তর । রবীন্দ্র কাছারী বাড়ি স্মৃতি জাদুঘরে প্রতি দিন শত শত দেশী বিদেশী দর্শনার্থী আসেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি এখন স্মৃতি জাদুঘর !

আপডেট সময় : ১০:৩৭:১২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৮ মে ২০১৭

রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর কাছারী বাড়িতে ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে ।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালনের কর্মসূচী গ্রহন করেছে ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত জমিদারী দেখারশুনার জন্য শাহজাদপুর কাছারী বাড়িতে আসতেন এবং সাময়িকভাবে এখানে বসবাস করতেন ।

কিন্তু শাহজাদপুর তার এতই ভাল লেগেছিল যে, জমিদারী কাজ ছাড়াও বহুবার তিনি এখানে এসেছেন। রচনা করেছেন গান, কবিতা ছোট গল্প ও উপন্যাস প্রভৃতি ।

তৌজির অন্তর্গত ডিহি শাহজাদপুরের জমিদারী একদা নাটোরের রাণী ভবানীর জমিদারীর একটি অংশ ছিল । ১৮৪০ সালে শাহজাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর তা মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় কিনে নেন । জমিদারীর সাথে সাথে শাহজাদপুর কাছারী বাড়িটিও ঠাকুর পরিবারের হস্দগত হয় ।
শাহজাদপুর কাছারি বাড়ি ইন্দো- ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত একটি দ্বিতল ভবন ।

ভবনটির দৈর্ঘ ২৬ দশমিক ৮৫ মিটার, প্রস্থ ১০ দশমিক ২০ মিটার এবং উচ্চতায় ৮ দশমিক ৭৪ মিটার । ভবনটির প্রতি তলায় সিড়িঘর ব্যতীত বিভিন্ন আকারের মোট সাতটি করে কক্ষ রয়েছে ।
ভবনটির উত্তর ও দক্ষিনে একই মাপের প্রশস্ত বাড়ান্দা রয়েছে । বারান্দায় গোলাকৃতির জোড়া মাপের থামের উপরাংশে অলংকরন , বড় মাপের দরজা, জানালা ও ছাদের উপরের প্যারাপেট দেয়ালে পোড়ামাটির কাজ বিশেষভাবে লক্ষণীয় । ১৯৬৯ সালে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর অত্যান্ত জড়াজীর্ণ অবস্থায় ভবনটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষনা করে ।

এক তলা দোতলার ছাদ পুনঃনির্মান সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে ভবনটি রবীন্দ্র জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র ও এ বাড়িতে প্রাপ্ত আসবাবপত্র নিয়ে একটি স্মৃতি জাদুঘরের রুপ দেয়া হয়েছে ।

এই জাদুঘরের আসবাবপত্র সবই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার্য । আছে কবি গুরুর পিয়ানো, পাল্কি, খাট, পালং, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি । রবীন্দ্র কাছারী বাড়ি প্রঙ্গনে তৈরী করা হয়েছে অডিটরিয়াম সেখানে প্রততত্ত্ব বিভাগের দপ্তর । রবীন্দ্র কাছারী বাড়ি স্মৃতি জাদুঘরে প্রতি দিন শত শত দেশী বিদেশী দর্শনার্থী আসেন।