খালেদার আদালত পরিবর্তন : শুনানি সোমবার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০০:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ মে ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে   বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসাইন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও ফারহানা শারাফাত।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ফের আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া এই আবেদন দাখিল করেন।

পরে আইনজীবী  জাকির হোসেন ভূইয়া জানান,  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারক ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইন শাখার পরিচালক ছিলেন। ওই সময় তিনি মামলাটি দেখভাল করেছিলেন। এজন্য গত ১৩ এপ্রিল বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লার নিকট অনাস্থার আবেদন করলে তিনি তা নাকচ করে দেন। সেই  আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

গত ৮ মার্চ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৩ এর বিচারক আবু আহম্মেদ জমাদ্দারের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনাস্থা আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি ওই আদালত থেকে স্থানান্তর করে ঢাকার সিনিয়র মহানগর বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদালতকে ৬০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদার আদালত পরিবর্তন : শুনানি সোমবার !

আপডেট সময় : ০৬:০০:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে   বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসাইন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও ফারহানা শারাফাত।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ফের আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া এই আবেদন দাখিল করেন।

পরে আইনজীবী  জাকির হোসেন ভূইয়া জানান,  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারক ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইন শাখার পরিচালক ছিলেন। ওই সময় তিনি মামলাটি দেখভাল করেছিলেন। এজন্য গত ১৩ এপ্রিল বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লার নিকট অনাস্থার আবেদন করলে তিনি তা নাকচ করে দেন। সেই  আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

গত ৮ মার্চ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৩ এর বিচারক আবু আহম্মেদ জমাদ্দারের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনাস্থা আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি ওই আদালত থেকে স্থানান্তর করে ঢাকার সিনিয়র মহানগর বিশেষ জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদালতকে ৬০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।