শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

ঝিনাইদহের মেধাবী ছাত্র খালেদুর জিপিএ-৫ পেয়েও লেখাপড়া করতে পারছে না

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ মে ২০১৭
  • ৭৯৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  মেধা দেখে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে। এখন মেধাই কাল হলো খাইরুল ইসলাম নামে এক হতভাগা বাবার। উনিশ বছর চাকরী করে সরকারী বেতন ঘরে ওঠেনি খাইরুলের। পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি লাভ করে ছেলে খালেদুর রহমানের যখন প্রবল ইচ্ছা জাগে ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ে পড়তে, তখন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রাম ছেড়ে ঝিনাইদহে আসেন নন এমপিও সহকারী শিক্ষক খাইরুল। ওঠেন ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার লালন শাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায়। টিউশনি আর খুটিনাটি করে ছেলের পড়ালেখা করান খাইরুল।

সদ্য ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছেলে খালেদুর জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করলে নতুন করে চিন্তার রেখা ভাজ পড়ে বাবার কপালে। ছেলের ভর্তি এমনকি আর পড়ালেখা করানোর সমর্থ হারিয়ে ফেলে দারস্থ হন বিত্তবানদের কাছে। শুক্রবার তিনি প্রেস ক্লাবের এসে সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানান, ছেলের পড়ালেখা করানোর আমার আর সমর্থ নেই। ঊনিশ বছর কুষ্টিয়া সদরের লক্ষিপুর হাসানবাগ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যায়ের শিক্ষক হিসেবে বেগার দিচ্ছেন। এখন চার সদস্যের সংসারের ঘানি টানতে তিনি অসহায়।

কেও ছেলেটির কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ও পড়ালেখার ধারাবাহিক খরচ বহন করলে তিনি বেঁচে যান। কথাগুলো বলার সময় খাইরুলের চোখে পানি এসে যায়। জন্মদাতা পিতা হয়েও আজ অভাব অনটনের কারণে ছেলের পড়ালেখা করাতে পারছেন না। সাহায্য পাঠানো ও যোগাযোগের জন্য বিত্তবানরা ০১৭২২-৯৫৩৭৭১ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। সাহায্য পাঠাতে পারেন ডাচবাংলা ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা, হিসাব নং ২২৮১০৭২৫৯৭, সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা, হিসাব নং ৩৪০৭৫১১৬৭, আপনার দয়া ও আর্থিক সাহায্যে একটি মেধাবী ছেলে দেখতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

ঝিনাইদহের মেধাবী ছাত্র খালেদুর জিপিএ-৫ পেয়েও লেখাপড়া করতে পারছে না

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  মেধা দেখে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে। এখন মেধাই কাল হলো খাইরুল ইসলাম নামে এক হতভাগা বাবার। উনিশ বছর চাকরী করে সরকারী বেতন ঘরে ওঠেনি খাইরুলের। পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি লাভ করে ছেলে খালেদুর রহমানের যখন প্রবল ইচ্ছা জাগে ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ে পড়তে, তখন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রাম ছেড়ে ঝিনাইদহে আসেন নন এমপিও সহকারী শিক্ষক খাইরুল। ওঠেন ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার লালন শাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায়। টিউশনি আর খুটিনাটি করে ছেলের পড়ালেখা করান খাইরুল।

সদ্য ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছেলে খালেদুর জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করলে নতুন করে চিন্তার রেখা ভাজ পড়ে বাবার কপালে। ছেলের ভর্তি এমনকি আর পড়ালেখা করানোর সমর্থ হারিয়ে ফেলে দারস্থ হন বিত্তবানদের কাছে। শুক্রবার তিনি প্রেস ক্লাবের এসে সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানান, ছেলের পড়ালেখা করানোর আমার আর সমর্থ নেই। ঊনিশ বছর কুষ্টিয়া সদরের লক্ষিপুর হাসানবাগ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যায়ের শিক্ষক হিসেবে বেগার দিচ্ছেন। এখন চার সদস্যের সংসারের ঘানি টানতে তিনি অসহায়।

কেও ছেলেটির কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি ও পড়ালেখার ধারাবাহিক খরচ বহন করলে তিনি বেঁচে যান। কথাগুলো বলার সময় খাইরুলের চোখে পানি এসে যায়। জন্মদাতা পিতা হয়েও আজ অভাব অনটনের কারণে ছেলের পড়ালেখা করাতে পারছেন না। সাহায্য পাঠানো ও যোগাযোগের জন্য বিত্তবানরা ০১৭২২-৯৫৩৭৭১ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। সাহায্য পাঠাতে পারেন ডাচবাংলা ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা, হিসাব নং ২২৮১০৭২৫৯৭, সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা, হিসাব নং ৩৪০৭৫১১৬৭, আপনার দয়া ও আর্থিক সাহায্যে একটি মেধাবী ছেলে দেখতে পারে।