শিরোনাম :

৫ মিনিট পরই সব ভুলে যান যে যুবক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বলিউডের অন্যতম ব্যবসা সফল ছবি ‘গজনী’ সিনেমায় আমির খানের চরিত্রের কতা সবারই মনে আছে। যিনি কিছুই মনে রাখতে পারতেন না। কয়েক মিনিট আগের ঘটনাই ভুলে যেতেন। তাই শরীরে ট্যাটু করে সব লিখে রাখতেন।  রোগটির নাম ‘শর্ট টাইম মেমরি লস’।  তাইওয়ানের বাসিন্দা চেন হংজিও এই রোগে আক্রান্ত।  পাঁচ থেকে দশ মিনিটের বেশি কিছুই মনে রাখতে পারেন না চেন।

১৭ বছর বয়সে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন চেন হংজিও।  মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। শারীরিক দিক থেকে সুস্থ হলেও মস্তিষ্কে বড় প্রভাব পড়ে। সেই ১৭ বছরের স্মৃতিই এখনও আটকে রেখেছে তাকে। তারপর থেকে জীবনে যা ঘটে সবই ভুলে যান চেন হংজিও।

প্রত্যেকে দিন ঘুম চেন ঘুম থেকে ওঠার পর তার মা মনে করিয়ে দেন, এখন তার বয়স ১৭ নয়। এরপর এতদিন কার ঘটনার সংক্ষেপে বিবরন দেন তিনি। ঘটনাবলী মনে রাখার জন্য একটি নোটবুক রাখেন চেন। যা দেখেন, যা শোনেন, যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সবই লিখে রাখেন এই নোট বুকে। তবে পড়াশোনা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি চেনের। কারণ সবই তিনি ভুলে যান। যার জন্য নিজের একটি ফোনেটিক স্ক্রিপট রেখেছেন। সেই অক্ষরের উপর ভিত্তি করেই লিখে রাখেন তিনি সমস্ত।  কারোর নাম পর্যন্ত মনে রাখতে পারেন না তাইওয়ানের এই বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর ৮টি বছর কেটে গেছে চেনের। কিন্তু এই মাঝের ৮টি বছরের যেন কোনও অস্তিত্বই নেই তার জীবনে। কিছুই মনে নেই এই ৮ বছরের। আয়না ছাড়া নিজেকে কেমন দেখতে তাও হয়তো ঠিক করে বলতে পারবেন না তিনি। প্রতিদিন সকালে আয়নার সঙ্গে পরিচয় করেন তিনি।

প্লাস্টিকের বোতল বিক্রি করে আয় করেন তিনি। কিন্তু মায়ের উপর ভর করেই জীবন চলছে চেন হংজিওর। তাই মায়ের চিন্তা যে তার অবর্তমানে কীভাবে দিন চলবে চেনের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

৫ মিনিট পরই সব ভুলে যান যে যুবক !

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বলিউডের অন্যতম ব্যবসা সফল ছবি ‘গজনী’ সিনেমায় আমির খানের চরিত্রের কতা সবারই মনে আছে। যিনি কিছুই মনে রাখতে পারতেন না। কয়েক মিনিট আগের ঘটনাই ভুলে যেতেন। তাই শরীরে ট্যাটু করে সব লিখে রাখতেন।  রোগটির নাম ‘শর্ট টাইম মেমরি লস’।  তাইওয়ানের বাসিন্দা চেন হংজিও এই রোগে আক্রান্ত।  পাঁচ থেকে দশ মিনিটের বেশি কিছুই মনে রাখতে পারেন না চেন।

১৭ বছর বয়সে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন চেন হংজিও।  মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। শারীরিক দিক থেকে সুস্থ হলেও মস্তিষ্কে বড় প্রভাব পড়ে। সেই ১৭ বছরের স্মৃতিই এখনও আটকে রেখেছে তাকে। তারপর থেকে জীবনে যা ঘটে সবই ভুলে যান চেন হংজিও।

প্রত্যেকে দিন ঘুম চেন ঘুম থেকে ওঠার পর তার মা মনে করিয়ে দেন, এখন তার বয়স ১৭ নয়। এরপর এতদিন কার ঘটনার সংক্ষেপে বিবরন দেন তিনি। ঘটনাবলী মনে রাখার জন্য একটি নোটবুক রাখেন চেন। যা দেখেন, যা শোনেন, যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সবই লিখে রাখেন এই নোট বুকে। তবে পড়াশোনা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি চেনের। কারণ সবই তিনি ভুলে যান। যার জন্য নিজের একটি ফোনেটিক স্ক্রিপট রেখেছেন। সেই অক্ষরের উপর ভিত্তি করেই লিখে রাখেন তিনি সমস্ত।  কারোর নাম পর্যন্ত মনে রাখতে পারেন না তাইওয়ানের এই বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর ৮টি বছর কেটে গেছে চেনের। কিন্তু এই মাঝের ৮টি বছরের যেন কোনও অস্তিত্বই নেই তার জীবনে। কিছুই মনে নেই এই ৮ বছরের। আয়না ছাড়া নিজেকে কেমন দেখতে তাও হয়তো ঠিক করে বলতে পারবেন না তিনি। প্রতিদিন সকালে আয়নার সঙ্গে পরিচয় করেন তিনি।

প্লাস্টিকের বোতল বিক্রি করে আয় করেন তিনি। কিন্তু মায়ের উপর ভর করেই জীবন চলছে চেন হংজিওর। তাই মায়ের চিন্তা যে তার অবর্তমানে কীভাবে দিন চলবে চেনের।