যে ব্যক্তির কারাগার থেকে পালানোর রেকর্ড ১১৬ বছরেও অক্ষুণ্ণ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:৪৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আসল নাম জোসেফ বোলিথো জোন্‌স হলেও অস্ট্রেলীয়রা তাকে মুনডাইন জো ডাকতেই বেশি ভালোবাসে। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রবিবার মুনডাইন ফেস্টিভ্যাল পালন করা হয় অস্ট্রেলিয়ায়। তাকে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে, বই লেখা হয়েছে। ভালোবেসে তাকে নিয়ে অনেকেই কবিতা লিখেছেন। তার নামে অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্টেশনের সাইডিং এর নামকরণ করা হয়েছে।

কিন্তু জোসেফ বোলিথো জোন্‌স কোনো বিখ্যাত নয়, কুখ্যাত ব্যক্তি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। ১৮২৬ সালে দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় তার। জীবিকার তাগিদে হরহামেশাই চুরি করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশও বা ছাড় দেবে কেন। প্রতিবারই ধরে নিয়ে কারাগারে পুরে দিত। জোসেফ বোলিথো জোন্‌সও হাল ছাড়ার পাত্র নন।

কবে, কখন পালাবেন, তা নাকি প্রহরীদের জানিয়েই রাখতেন জোসেফ বোলিথো জোন্‌স। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক উধাও হয়ে যেতেন জেল থেকে। জেলভাঙার যে নজির তিনি গড়েছিলেন, ১১৬ বছরেও তা অটুট। একবার মুনডাইনের জন্য নিশ্ছিদ্র কারাগার তৈরি করা হয়। মুনডাইনকে গ্রেফতারের পরে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বলা হত, সেই সময়ে ওই ধরনের নিশ্ছিদ্র জেল আর কোথাও ছিল না। কিন্তু সেই জেলও ভেঙেছিলেন তিনি।

১৯০০ সালের ১৩ আগস্ট মৃত্যু হয় জোসেফ বোলিথো জোন্‌সের। শেষ বয়সে এসে চোর-পুলিশ খেলা বাদ দেন। বারবার কারাগারে যাওয়া-আসার সুবাধে প্রহরীসহ কারা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কারাগারে তার চমৎকার ব্যবহারের কথা একবাক্যে স্বীকার করতেন সকলে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যে ব্যক্তির কারাগার থেকে পালানোর রেকর্ড ১১৬ বছরেও অক্ষুণ্ণ !

আপডেট সময় : ০৭:০০:৪৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আসল নাম জোসেফ বোলিথো জোন্‌স হলেও অস্ট্রেলীয়রা তাকে মুনডাইন জো ডাকতেই বেশি ভালোবাসে। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম রবিবার মুনডাইন ফেস্টিভ্যাল পালন করা হয় অস্ট্রেলিয়ায়। তাকে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে, বই লেখা হয়েছে। ভালোবেসে তাকে নিয়ে অনেকেই কবিতা লিখেছেন। তার নামে অস্ট্রেলিয়ায় একটি স্টেশনের সাইডিং এর নামকরণ করা হয়েছে।

কিন্তু জোসেফ বোলিথো জোন্‌স কোনো বিখ্যাত নয়, কুখ্যাত ব্যক্তি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। ১৮২৬ সালে দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় তার। জীবিকার তাগিদে হরহামেশাই চুরি করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশও বা ছাড় দেবে কেন। প্রতিবারই ধরে নিয়ে কারাগারে পুরে দিত। জোসেফ বোলিথো জোন্‌সও হাল ছাড়ার পাত্র নন।

কবে, কখন পালাবেন, তা নাকি প্রহরীদের জানিয়েই রাখতেন জোসেফ বোলিথো জোন্‌স। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক উধাও হয়ে যেতেন জেল থেকে। জেলভাঙার যে নজির তিনি গড়েছিলেন, ১১৬ বছরেও তা অটুট। একবার মুনডাইনের জন্য নিশ্ছিদ্র কারাগার তৈরি করা হয়। মুনডাইনকে গ্রেফতারের পরে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বলা হত, সেই সময়ে ওই ধরনের নিশ্ছিদ্র জেল আর কোথাও ছিল না। কিন্তু সেই জেলও ভেঙেছিলেন তিনি।

১৯০০ সালের ১৩ আগস্ট মৃত্যু হয় জোসেফ বোলিথো জোন্‌সের। শেষ বয়সে এসে চোর-পুলিশ খেলা বাদ দেন। বারবার কারাগারে যাওয়া-আসার সুবাধে প্রহরীসহ কারা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কারাগারে তার চমৎকার ব্যবহারের কথা একবাক্যে স্বীকার করতেন সকলে।