নিউজ ডেস্ক:
জীবনে ভুল সকলেরই হয়। ভুল সিদ্ধান্ত বা ভুল পদক্ষেপের কারণে কখনও কখনও নিজের অথবা অন্য কারো ক্ষতি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্তের জন্য অনুশোচনা হয়, আফসোস হয়। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় রয়েছে, যার জন্য আফসোস করাটা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
‘লন্ডন ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি’র গবেষক লিজা হার্ভে বলছেন, “অকারণ অনুশোচনার ফলে জন্ম নেয় হীনমন্যতা। আর হীনমন্যতা ব্যক্তিত্বের বিকাশে বাধা দেয়। ফলে কোনও কোনও বিষয়ে আফসোস করার প্রবণতা একেবারে ঝেড়ে ফেলতে হবে। ” জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে—
১। আপনার চেহারা-
মনে রাখবেন, আপনি কেমন দেখতে, তাতে আপনার কোনও হাত নেই। নিজেকে আপনি নিজে গড়েননি। কাজেই আপনি বেঁটে না মোটা, রোগা না লম্বা, ফর্সা না কালো, সে নিয়ে বিন্দুমাত্র মন খারাপ করবেন না। আমি কেন আর একটু ফর্সা, লম্বা বা রোগা হলাম না এই ভেবে আফসোস করার কোনও মানে হয় না।
২। নিজেকে নিয়ে নেওয়া আপনার সিদ্ধান্ত-
নিজের জীবন সম্পর্কে আপনি যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা জীবনকে সহজতর করার লক্ষ্যেই নিয়েছেন। কাজেই সেই নিয়ে লজ্জিত বা অনুশোচিত বোধ করারও কিছু নেই।
৩। নিজের অনুভূতিকে যথাযথ অভিব্যক্ত করার ক্ষেত্রে-
নিজের অনুভূতিকে যত চেপে রাখবেন, তত মানসিক কষ্ট বাড়বে। তার থেকে নিজেকে এক্সপ্রেস করুন। যেমন ভাবে প্রয়োজন নিজেকে প্রকাশ করার, সেই ভাবেই করুন। এর জন্য কুণ্ঠিত হবেন না।
৪। নিজের মতকে যথাযথ অভিব্যক্ত করার ক্ষেত্রে-
যেটা ভাল লাগছে না, তাকে স্পষ্ট ভাবে ‘না’ বলুন। ভাল লাগলে তা-ও ততধিক স্পষ্ট ভাবে বলুন। নিজের মতকে কখনও দমন করবেন না। নিজের মত প্রকাশের জন্য আফসোস করবেন না।
৫। নিজেকে নিজের মতো করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে-
আপনি যেমন, তার চেয়ে অন্য রকম, অন্য কোনও মানুষ হওয়ার অভিনয় করবেন না। তাতে শুধু অন্যদের ঠকানো হয় না, নিজেকেও ঠকানো হয়। তার চেয়ে নিজের ‘ট্রু সেলফ’-কে তুলে ধরুন। তার জন্য কোনও রকম আফসোস যেন আপনাকে গ্রাস না করে।























































