সোমবার | ১০ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ Logo খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলায় কয়রা প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সমাবেশ  Logo পিরিয়ডে সচেতন থাকতে মানুন নিয়মগুলো Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় আসলো নতুনত্ব Logo ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার সীমান্ত এলাকার ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা Logo ইবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন Logo চাঁদপুরে ফিউচার ইলেকট্রনিক্সের র‍্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কার বিতরণ! Logo প্রকাশিত হলো নুরুন্নাহার মুন্নির কাব্যগ্রন্থ ভ্রণফুল Logo বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শ্রমিকের মৃত্যু

পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে
বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরে তাওহীদ রহমানের মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
৮ নভেম্বর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে অবস্থিত নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকা এবং বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সিলগালা করা হয়। একইসঙ্গে পলাশবাড়ী পৌরশহরে অবস্থিত তাওহীদ রহমানের বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান—
জনসেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার,নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুসহ ভুল চিকিৎসার একাধিক অভিযোগ উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর পলাশবাড়ীর জনসেবা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিয়ায় গুরুতর অনিয়মের কারণে এক প্রসূতির মৃত্যু হলে বিষয়টি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদ এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে চারটি প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করে পুনরায় প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করলে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তাওহীদ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরে তাওহীদ রহমানের মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
৮ নভেম্বর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে অবস্থিত নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকা এবং বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সিলগালা করা হয়। একইসঙ্গে পলাশবাড়ী পৌরশহরে অবস্থিত তাওহীদ রহমানের বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান—
জনসেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার,নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুসহ ভুল চিকিৎসার একাধিক অভিযোগ উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর পলাশবাড়ীর জনসেবা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিয়ায় গুরুতর অনিয়মের কারণে এক প্রসূতির মৃত্যু হলে বিষয়টি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদ এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে চারটি প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করে পুনরায় প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করলে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তাওহীদ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।