বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo জেলা পুশিল সুপারের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo ধুলিহরে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন

পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে
বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরে তাওহীদ রহমানের মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
৮ নভেম্বর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে অবস্থিত নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকা এবং বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সিলগালা করা হয়। একইসঙ্গে পলাশবাড়ী পৌরশহরে অবস্থিত তাওহীদ রহমানের বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান—
জনসেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার,নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুসহ ভুল চিকিৎসার একাধিক অভিযোগ উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর পলাশবাড়ীর জনসেবা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিয়ায় গুরুতর অনিয়মের কারণে এক প্রসূতির মৃত্যু হলে বিষয়টি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদ এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে চারটি প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করে পুনরায় প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করলে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তাওহীদ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ

পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরে তাওহীদ রহমানের মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
৮ নভেম্বর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে অবস্থিত নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকা এবং বিভিন্ন অসঙ্গতি থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সিলগালা করা হয়। একইসঙ্গে পলাশবাড়ী পৌরশহরে অবস্থিত তাওহীদ রহমানের বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান—
জনসেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার,নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুসহ ভুল চিকিৎসার একাধিক অভিযোগ উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর পলাশবাড়ীর জনসেবা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিয়ায় গুরুতর অনিয়মের কারণে এক প্রসূতির মৃত্যু হলে বিষয়টি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদ এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে চারটি প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করে পুনরায় প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করলে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তাওহীদ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।