বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস

ওয়াপদা প্রকল্পে হুমকিতে বসতভিটা, জোড়শিংয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগ

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং পূর্বপাড়ায় ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সংস্কার কাজের কারণে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি এবং জমি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে পরিবারগুলো চরম উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি ভেড়িবাঁধের কাজ পূর্ব পাশে করা হয়, তাহলে তারা নিরাপদে থাকতে পারবেন এবং তাদের বসতভিটা রক্ষা পাবে। কিন্তু যদি কাজ পশ্চিম পাশে করা হয়, তাহলে নদীর স্রোতের ধাক্কায় পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে শত বছরের পুরনো বসতভিটা, পারিবারিক জমি ও জীবন-জীবিকা সব হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এলাকার মানুষরা আরও জানিয়েছেন, ভেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে প্রায় ২০ বিঘা জমি অকেজো হয়ে আছে। তারা বলেছেন, ওই জমির ওপর দিয়ে কাজ করলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। তাই তারা আশা করছেন, ঠিক সেই দিক দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিবেশী মনোরঞ্জন মন্ডল বলেন,
আমরা চাই বাঁধটি পূর্ব পাশে করা হোক। ওই দিকে জমি আছে, সেখানে কাজ করলে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পশ্চিম পাশে করলে আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের মতামত ছাড়াই কাজ শুরু করেছে। ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কথা কেউ শুনছে না। এছাড়া তারা জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ চলাকালীন কোনো প্রকার নিরাপত্তা বা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে, এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ কয়রা-পাইকগাছা আসনের সকল সম্ভাব্য নেতা ও এমপি প্রার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছেন। তারা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ছাড়া কাজ করলে শুধু তাদের বসতভিটাই নয়, পুরো এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।
বাসিন্দারা আরও আশা প্রকাশ করেছেন, ওয়াপদা প্রশাসন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দেবে এবং প্রকল্পের কাজ এমনভাবে করবে যাতে কোনো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তারা আশাবাদী যে, সঠিক দিকনির্দেশনায় বাঁধ সংস্কার করলে জোড়শিংয়ের মানুষের জীবন ও বসতভিটা নিরাপদ থাকবে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ

ওয়াপদা প্রকল্পে হুমকিতে বসতভিটা, জোড়শিংয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৩৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং পূর্বপাড়ায় ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সংস্কার কাজের কারণে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি এবং জমি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে পরিবারগুলো চরম উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যদি ভেড়িবাঁধের কাজ পূর্ব পাশে করা হয়, তাহলে তারা নিরাপদে থাকতে পারবেন এবং তাদের বসতভিটা রক্ষা পাবে। কিন্তু যদি কাজ পশ্চিম পাশে করা হয়, তাহলে নদীর স্রোতের ধাক্কায় পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে শত বছরের পুরনো বসতভিটা, পারিবারিক জমি ও জীবন-জীবিকা সব হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এলাকার মানুষরা আরও জানিয়েছেন, ভেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে প্রায় ২০ বিঘা জমি অকেজো হয়ে আছে। তারা বলেছেন, ওই জমির ওপর দিয়ে কাজ করলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। তাই তারা আশা করছেন, ঠিক সেই দিক দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিবেশী মনোরঞ্জন মন্ডল বলেন,
আমরা চাই বাঁধটি পূর্ব পাশে করা হোক। ওই দিকে জমি আছে, সেখানে কাজ করলে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পশ্চিম পাশে করলে আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের মতামত ছাড়াই কাজ শুরু করেছে। ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কথা কেউ শুনছে না। এছাড়া তারা জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ চলাকালীন কোনো প্রকার নিরাপত্তা বা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে, এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ কয়রা-পাইকগাছা আসনের সকল সম্ভাব্য নেতা ও এমপি প্রার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছেন। তারা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ছাড়া কাজ করলে শুধু তাদের বসতভিটাই নয়, পুরো এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।
বাসিন্দারা আরও আশা প্রকাশ করেছেন, ওয়াপদা প্রশাসন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দেবে এবং প্রকল্পের কাজ এমনভাবে করবে যাতে কোনো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তারা আশাবাদী যে, সঠিক দিকনির্দেশনায় বাঁধ সংস্কার করলে জোড়শিংয়ের মানুষের জীবন ও বসতভিটা নিরাপদ থাকবে।