আগামী ৯ নভেম্বর অবসরে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। এরপূর্বে গত ২৩ অক্টোবর স্কুল প্রাঙ্গণে রান্নার আয়োজন করে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে দুপুরে খাবার পরিবেশন করেন। সেদিন পিকনিকের আমেজে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা তাদের ভাই বোনদেরকেও সাথে নিয়ে আসে। স্কুলের সকল শিক্ষকদের সাথে জাতীয় পর্যায়ে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর রাশেদা আতিক রোজী এবং সকল সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বৃন্দ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
অত্যন্ত মানবিক এবং উদারমনা সম্পন্ন প্রধান শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। তার বিদ্যালয়ের একমাত্র পুরুষ সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলাম সম্পূর্ণ আয়োজনের দায়িত্ব নিজ হাতে সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন, অন্যান্য সকল সহকর্মীবৃন্দ তাকে মানসিকভাবে এবং বিদ্যালয়ের সকল দায়িত্বে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সর্বদা।
পারিবারিক শিক্ষা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার স্বামী সুভাষ চন্দ্র সাহা হাজিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী প্রধান হিসেবে (১৯৭৪-২০১০)দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনিও অত্যন্ত উদার এবং মানবিক ছিলেন। শিক্ষার্থীরা কেউ না খেয়ে থাকলে নিজের খাবার ভাগ করে খেতে দিয়েছেন এমনই বহু বিরল ঘটনা জানা যায়।













































