শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান  Logo সিরাক-বাংলাদেশের উদ্যোগে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo স্টারমারের সফরে ইউরোফাইটার ক্রয় চুক্তিতে নজর তুরস্কের Logo বিলিয়নিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেন চেক প্রেসিডেন্ট Logo চাঁদপুরে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo সিরাজগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে যুব সমাজের মানববন্ধন! Logo ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল নিয়ে জোট করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন Logo চাঁদপুরে যমুনা প্রিন্টিং হাউজের উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ! Logo বিদায় বেলায় ৩ শতা‌ধিক শিক্ষার্থীদের খাবার প‌রি‌বেশন কর‌লেন শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। Logo তাড়াশে জমি দখল ও নকশা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

বিদায় বেলায় ৩ শতা‌ধিক শিক্ষার্থীদের খাবার প‌রি‌বেশন কর‌লেন শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস।

আমরা হর হা‌মেশাই দে‌খে আসছি চাকরী শে‌ষে প্রতিষ্ঠান থে‌কে বিদায়ী অনুষ্ঠানের মাধ‌্যমে শিক্ষক‌কে বিদায় জানা‌নো হয়। কিন্তু এর ব‌্যতিক্রম ঘটালেন ৩২ বছর শিক্ষকতা থে‌কে অবস‌রে চ‌লে যাওয়া প্রধান শি‌ক্ষিক ঝুমকা রানী দাস। চাকুরীর শেষ কর্মস্থল চাঁদপু‌রের হাজীগঞ্জ উপ‌জেলার কাজিরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযের ৩ শতা‌ধিক ছাত্র ছাত্রী ও  তা‌দের ভাই‌ বোন‌দের মা‌ঝে দুপু‌রের খাবার পরিবেশ‌নের মধ‌্যদি‌য়ে এক বিরল ঘটনার আবতারনা ক‌রেন শি‌ক্ষিক ঝুমকা রানী দাস।

আগামী ৯ ন‌ভেম্বর অবস‌রে যা‌চ্ছেন প্রধান শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। এরপূ‌র্বে গত ২৩ অ‌ক্টোবর স্কুল প্রাঙ্গ‌ণে রান্নার আ‌য়োজন ক‌রে প্রাক প্রা‌থমিক থে‌কে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ‌্যাল‌য়ে সকল শিক্ষার্থী‌দের মা‌ঝে  দুপু‌রে খাবার প‌রি‌বেশন ক‌রেন। সে‌দিন পিক‌নি‌কের আ‌মে‌জে মধ‌্যাহ্ন‌ভো‌জে অংশ‌ নি‌তে শিক্ষার্থীরা তা‌দের ভাই‌ বোন‌দের‌কেও সা‌থে নি‌য়ে আ‌সে। স্কু‌লের সকল শিক্ষকদের সা‌থে জাতীয় পর্যায়ে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর রাশেদা আতিক রোজী এবং সকল সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বৃন্দ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

অত্যন্ত মানবিক এবং উদারমনা সম্পন্ন প্রধান শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। তার বিদ্যালয়ের একমাত্র পুরুষ সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলাম সম্পূর্ণ আয়োজনের দায়িত্ব নিজ হাতে সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন, অন্যান্য সকল সহকর্মীবৃন্দ তাকে মানসিকভাবে এবং বিদ্যালয়ের সকল দায়িত্বে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সর্বদা।

পারিবারিক শিক্ষা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার স্বামী সুভাষ চন্দ্র সাহা হাজিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী প্রধান হিসেবে (১৯৭৪-২০১০)দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনিও অত্যন্ত উদার এবং মানবিক ছিলেন। শিক্ষার্থীরা কেউ না খেয়ে থাকলে নিজের খাবার ভাগ করে খেতে দিয়েছেন এমনই বহু বিরল ঘটনা জানা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান 

বিদায় বেলায় ৩ শতা‌ধিক শিক্ষার্থীদের খাবার প‌রি‌বেশন কর‌লেন শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস।

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
আমরা হর হা‌মেশাই দে‌খে আসছি চাকরী শে‌ষে প্রতিষ্ঠান থে‌কে বিদায়ী অনুষ্ঠানের মাধ‌্যমে শিক্ষক‌কে বিদায় জানা‌নো হয়। কিন্তু এর ব‌্যতিক্রম ঘটালেন ৩২ বছর শিক্ষকতা থে‌কে অবস‌রে চ‌লে যাওয়া প্রধান শি‌ক্ষিক ঝুমকা রানী দাস। চাকুরীর শেষ কর্মস্থল চাঁদপু‌রের হাজীগঞ্জ উপ‌জেলার কাজিরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযের ৩ শতা‌ধিক ছাত্র ছাত্রী ও  তা‌দের ভাই‌ বোন‌দের মা‌ঝে দুপু‌রের খাবার পরিবেশ‌নের মধ‌্যদি‌য়ে এক বিরল ঘটনার আবতারনা ক‌রেন শি‌ক্ষিক ঝুমকা রানী দাস।

আগামী ৯ ন‌ভেম্বর অবস‌রে যা‌চ্ছেন প্রধান শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। এরপূ‌র্বে গত ২৩ অ‌ক্টোবর স্কুল প্রাঙ্গ‌ণে রান্নার আ‌য়োজন ক‌রে প্রাক প্রা‌থমিক থে‌কে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ‌্যাল‌য়ে সকল শিক্ষার্থী‌দের মা‌ঝে  দুপু‌রে খাবার প‌রি‌বেশন ক‌রেন। সে‌দিন পিক‌নি‌কের আ‌মে‌জে মধ‌্যাহ্ন‌ভো‌জে অংশ‌ নি‌তে শিক্ষার্থীরা তা‌দের ভাই‌ বোন‌দের‌কেও সা‌থে নি‌য়ে আ‌সে। স্কু‌লের সকল শিক্ষকদের সা‌থে জাতীয় পর্যায়ে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর রাশেদা আতিক রোজী এবং সকল সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বৃন্দ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

অত্যন্ত মানবিক এবং উদারমনা সম্পন্ন প্রধান শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। তার বিদ্যালয়ের একমাত্র পুরুষ সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলাম সম্পূর্ণ আয়োজনের দায়িত্ব নিজ হাতে সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন, অন্যান্য সকল সহকর্মীবৃন্দ তাকে মানসিকভাবে এবং বিদ্যালয়ের সকল দায়িত্বে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সর্বদা।

পারিবারিক শিক্ষা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার স্বামী সুভাষ চন্দ্র সাহা হাজিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী প্রধান হিসেবে (১৯৭৪-২০১০)দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনিও অত্যন্ত উদার এবং মানবিক ছিলেন। শিক্ষার্থীরা কেউ না খেয়ে থাকলে নিজের খাবার ভাগ করে খেতে দিয়েছেন এমনই বহু বিরল ঘটনা জানা যায়।