শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির বিশাল বিজয় র‌্যালি Logo জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিতে ইবিতে সংগ্রহশালা উদ্বোধন Logo ৫ ই আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কয়রা থানা বিএনপি’র বিজয় মিছিল Logo জুলাই শহীদদের রক্ত শুধু অতীত নয়, পথচলার অঙ্গীকার : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন Logo গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন নতুন বাংলাদেশে নব্য ফ্যাসিবাদের ঠাঁই হবে না : হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে কচুয়ায় জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ Logo লস্কর সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা জাহাঙ্গীর রাজু Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল Logo তালাকের ক্ষোভে জামাতার বিরুদ্ধে শাশুড়ির ধর্ষণ মামলা

যুদ্ধবিরতির আবেদন করার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা পাকিস্তানের

সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছে—ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন দাবি ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা কেবলমাত্র ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে।

আজ শনিবার (২১ জুন) জারি করা বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানায়, ‘ভারতের আগ্রাসনের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছে’—ভারতীয় গণমাধ্যমে উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেনেটর ইসহাক দারের নামে এমন ‘ভুল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দার তার বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, পাকিস্তান ভারতের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দিয়েছে এবং তা ছিল আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া।’

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তারা সংঘাত শুরু করেনি এবং কোনো দেশের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানায়নি। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ১০ মে সকালে শুরু হয় কূটনৈতিক তৎপরতা। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে ফোন করে জানান, ভারত যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ভাবতে প্রস্তুত, যদি পাকিস্তানও সম্মত হয়।

দার তখনই পাকিস্তানের সম্মতির বিষয়টি জানিয়ে দেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল ফোন করে ভারতের অবস্থান পুনরায় জানান এবং পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সম্মতি চান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সর্বদা কৌশলগত সংযম ও দায়িত্বশীল কূটনীতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ‘যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু করেনি এবং কাউকে যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানায়নি। কেবল তৃতীয় পক্ষের অনুরোধে সম্মত হয়েছে,’—বলা হয় বিবৃতিতে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী

যুদ্ধবিরতির আবেদন করার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ১২:১০:৫৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছে—ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন দাবি ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা কেবলমাত্র ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে।

আজ শনিবার (২১ জুন) জারি করা বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানায়, ‘ভারতের আগ্রাসনের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছে’—ভারতীয় গণমাধ্যমে উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেনেটর ইসহাক দারের নামে এমন ‘ভুল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দার তার বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, পাকিস্তান ভারতের আগ্রাসনের কঠোর জবাব দিয়েছে এবং তা ছিল আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া।’

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তারা সংঘাত শুরু করেনি এবং কোনো দেশের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানায়নি। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ১০ মে সকালে শুরু হয় কূটনৈতিক তৎপরতা। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে ফোন করে জানান, ভারত যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ভাবতে প্রস্তুত, যদি পাকিস্তানও সম্মত হয়।

দার তখনই পাকিস্তানের সম্মতির বিষয়টি জানিয়ে দেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল ফোন করে ভারতের অবস্থান পুনরায় জানান এবং পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সম্মতি চান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সর্বদা কৌশলগত সংযম ও দায়িত্বশীল কূটনীতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ‘যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু করেনি এবং কাউকে যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানায়নি। কেবল তৃতীয় পক্ষের অনুরোধে সম্মত হয়েছে,’—বলা হয় বিবৃতিতে।