শিরোনাম :
Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা Logo সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড ইংল্যান্ডের বেথেলের Logo ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা Logo প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মাদ্রাসাতুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান অনুষ্ঠান Logo ইবিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমীর পূজা-অর্চনা সম্পন্ন Logo শেরপুরে লোকাল বাসের চাপায় প্রাণ গেলো বৃদ্ধের Logo ছাত্র সংসদের দাবিতে আমরন অনশনে বসতে যাচ্ছে বেরোবি শিক্ষার্থীরা Logo যবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচীতে জন্মাষ্টমী পালন Logo পলাশবাড়ীতে জন্মাষ্টমী পালিত

খুবিতে সামার স্কুল-২০২৫ এর ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে “Cultures of Adaptation: Theories and Methodologies” শীর্ষক আট দিনব্যাপী সামার স্কুল ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট এবং নেদারল্যান্ডের উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের যৌথ উদ্যোগে এ সামার স্কুল আয়োজিত হয়েছে। আজ ২০ এপ্রিল (রবিবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ আয়োজন দ্বিপাক্ষিক একাডেমিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বর্তমান সময়ে যখন জলবায়ু সংকট আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলছে, তখন এই সামার স্কুল আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে- আমরা যারা গবেষক তাদের গবেষণা এবং অভিজ্ঞতার বিনিময় অত্যন্ত প্রয়োজন। একক অভিজ্ঞতার চেয়েও সম্মিলিত জ্ঞান এবং বিশ্লেষণ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এবং সেই উদ্যোগে বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ যখন একটি দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে তখন তা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ ধরনের সুদূর প্রসারী উদ্যোগ ভূমিকা রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। জলবায়ু ও দুর্যোগ-সংক্রান্ত গবেষণায় শক্ত ভিত গড়তে এই সামার স্কুলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে “ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট” প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি এই সামার স্কুলে অংশগ্রহণকারী এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই আয়োজন একটি জলবায়ুসহিষ্ণু ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও এই সামার স্কুলের আয়োজক দলের ফোকাল পারসন প্রফেসর ড. মোঃ নাসিফ আহসান, উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ মল্লিক ও উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাডক ড. হ্যারিসন এছাম আও।

এই সামার স্কুলের এক্সপার্ট হিসেবে পরবর্তী সেশনসমূহে যুক্ত হবেন উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান জিওগ্রাফি এন্ড স্পেশিয়াল প্লানিং বিভাগের প্রফেসর ড. অজয় বেইলি এবং সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথেরিনা ওলসার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, নগর ও গ্রামীণ ডিসিপ্লিনের পরিকল্পনা প্রফেসর ড. মোঃ জাকির হোসেন এবং ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক শাপলা সিংহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক এবং এই সামার স্কুলের এক্সপার্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।
আট দিনব্যাপী এ সামার স্কুলে দেশি-বিদেশি গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

খুবিতে সামার স্কুল-২০২৫ এর ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৭:২০:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে “Cultures of Adaptation: Theories and Methodologies” শীর্ষক আট দিনব্যাপী সামার স্কুল ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট এবং নেদারল্যান্ডের উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের যৌথ উদ্যোগে এ সামার স্কুল আয়োজিত হয়েছে। আজ ২০ এপ্রিল (রবিবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ আয়োজন দ্বিপাক্ষিক একাডেমিক সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বর্তমান সময়ে যখন জলবায়ু সংকট আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলছে, তখন এই সামার স্কুল আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে- আমরা যারা গবেষক তাদের গবেষণা এবং অভিজ্ঞতার বিনিময় অত্যন্ত প্রয়োজন। একক অভিজ্ঞতার চেয়েও সম্মিলিত জ্ঞান এবং বিশ্লেষণ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এবং সেই উদ্যোগে বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ যখন একটি দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে তখন তা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ ধরনের সুদূর প্রসারী উদ্যোগ ভূমিকা রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। জলবায়ু ও দুর্যোগ-সংক্রান্ত গবেষণায় শক্ত ভিত গড়তে এই সামার স্কুলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে “ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট” প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি এই সামার স্কুলে অংশগ্রহণকারী এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই আয়োজন একটি জলবায়ুসহিষ্ণু ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও এই সামার স্কুলের আয়োজক দলের ফোকাল পারসন প্রফেসর ড. মোঃ নাসিফ আহসান, উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ মল্লিক ও উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাডক ড. হ্যারিসন এছাম আও।

এই সামার স্কুলের এক্সপার্ট হিসেবে পরবর্তী সেশনসমূহে যুক্ত হবেন উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান জিওগ্রাফি এন্ড স্পেশিয়াল প্লানিং বিভাগের প্রফেসর ড. অজয় বেইলি এবং সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথেরিনা ওলসার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, নগর ও গ্রামীণ ডিসিপ্লিনের পরিকল্পনা প্রফেসর ড. মোঃ জাকির হোসেন এবং ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক শাপলা সিংহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক এবং এই সামার স্কুলের এক্সপার্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।
আট দিনব্যাপী এ সামার স্কুলে দেশি-বিদেশি গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।