‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট’

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

তিনি সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে এই তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক প্রকল্পও বন্ধ করতে হয়েছে।’’

এনইসি সভায় জানানো হয়, সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ৪৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছে। এর ফলে চূড়ান্ত এডিপির আকার এখন ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা, যা মূলত ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৯টি প্রকল্প এক টাকাও খরচ করতে পারেনি এবং ১২১টি প্রকল্পে এক শতাংশও কাজ হয়নি।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৫০ শতাংশ এবং বিদেশি ঋণের বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার কোটি টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট’

আপডেট সময় : ০৭:০৯:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

তিনি সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে এই তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক প্রকল্পও বন্ধ করতে হয়েছে।’’

এনইসি সভায় জানানো হয়, সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ৪৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছে। এর ফলে চূড়ান্ত এডিপির আকার এখন ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা, যা মূলত ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৯টি প্রকল্প এক টাকাও খরচ করতে পারেনি এবং ১২১টি প্রকল্পে এক শতাংশও কাজ হয়নি।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৫০ শতাংশ এবং বিদেশি ঋণের বরাদ্দ কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার কোটি টাকা।