শিরোনাম :
Logo সুন্দরবনে বৈচিত্র্যের সন্ধানে  Logo উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের Logo পরীক্ষায় অসদুপায়ের দায়ে নোবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার Logo রমজানের লম্বা ছুটিতে ভোগান্তিতে পরেন ইবির ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা Logo উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ Logo রিজার্ভ ডে থাকছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে Logo চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৮ মাসে মাদক নির্মূলে  অভিযান Logo পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ডাকাতি করে পালানোর সময় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য আটক। Logo হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি Logo ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট’

উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় সভা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ।

আজ সোমবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে দুপুর এ মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়।সভায় প্রসাশনের পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে নানা সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক জায়গায় এখনও আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিস্টরা বসে আছে। এ ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ফ্যাসিস্টরা কোনোভাবেই জায়গা পাবে না।
তিনি আরোও বলেন, আমরা আজ একটা দাবি নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম স্টেক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কিন্তু সেটাও ফ্যাসিস্টদের দখলে। ভিসি স্যার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হবে। অলরেডি তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই একজন সৎ যোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কাজগুলো পরিচালিত হোক। এর আগে আমরা শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্ট্রার নিজে কোনো ড্রাফট তৈরি করতে পারে না, ইংরেজিতে কথা বললে তিনি সেটা বুঝতে পারে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে এসব পদের পরিবর্তন আনতে হবে।

ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল বর্তমান প্রশাসন এখনও তাদের পুরোপুরি ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারিনি। যা আমাদের জন্য একটি বড় ব্যর্থতার পরিচয়।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে। আমরা বলেছি যে আমাদের যে বিভিন্ন ফাঁকা পোস্ট আছে সেখানে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি নিয়োগ দেয়া হোক। অবশ্যই নিয়োগ গুলো মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। মাননীয় উপাচার্য আমাদের সাথে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কথা শোনার পর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যদি তাদের কোন দাবি নিয়ে আসে আর সেটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক হয় তাহলে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করবো। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও আছে আমি সর্বোচ্চ ছাত্র সংগঠনের সাথে কথা বলি। আর যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন ধারার একটি নব উত্থিত আন্দোলনকারী দল এবং তারা এই বাংলাদেশের পরিবর্তন সাধন করেছে সেহেতু আমরা অবশ্যই তাদেরকে প্রাধান্য দিব।

ট্যাগস :

সুন্দরবনে বৈচিত্র্যের সন্ধানে 

উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় সভা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ।

আজ সোমবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে দুপুর এ মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হয়।সভায় প্রসাশনের পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে নানা সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক জায়গায় এখনও আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিস্টরা বসে আছে। এ ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ফ্যাসিস্টরা কোনোভাবেই জায়গা পাবে না।
তিনি আরোও বলেন, আমরা আজ একটা দাবি নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম স্টেক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কিন্তু সেটাও ফ্যাসিস্টদের দখলে। ভিসি স্যার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হবে। অলরেডি তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই একজন সৎ যোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কাজগুলো পরিচালিত হোক। এর আগে আমরা শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্ট্রার নিজে কোনো ড্রাফট তৈরি করতে পারে না, ইংরেজিতে কথা বললে তিনি সেটা বুঝতে পারে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে এসব পদের পরিবর্তন আনতে হবে।

ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল বর্তমান প্রশাসন এখনও তাদের পুরোপুরি ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারিনি। যা আমাদের জন্য একটি বড় ব্যর্থতার পরিচয়।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে। আমরা বলেছি যে আমাদের যে বিভিন্ন ফাঁকা পোস্ট আছে সেখানে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি নিয়োগ দেয়া হোক। অবশ্যই নিয়োগ গুলো মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। মাননীয় উপাচার্য আমাদের সাথে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কথা শোনার পর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যদি তাদের কোন দাবি নিয়ে আসে আর সেটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক হয় তাহলে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করবো। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও আছে আমি সর্বোচ্চ ছাত্র সংগঠনের সাথে কথা বলি। আর যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন ধারার একটি নব উত্থিত আন্দোলনকারী দল এবং তারা এই বাংলাদেশের পরিবর্তন সাধন করেছে সেহেতু আমরা অবশ্যই তাদেরকে প্রাধান্য দিব।