বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়; খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করা হলেও, দুদকের আবেদন সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে ৩ মার্চ নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর আজ রায় ঘোষিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়, যেখানে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, খালেদা জিয়া এবং তার দলীয় নেতৃবৃন্দ অবৈধভাবে ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রথমে বিশেষ আদালত এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল।

২০১৮ সালের অক্টোবরে বিশেষ আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং অন্য তিন আসামিকেও একই মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং কাকরাইলে অবস্থিত ট্রাস্টের জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর খালেদা জিয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট সেই মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেন, কারণ আদালত প্রমাণের অভাবে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়; খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

আপডেট সময় : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করা হলেও, দুদকের আবেদন সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে ৩ মার্চ নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর আজ রায় ঘোষিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়, যেখানে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, খালেদা জিয়া এবং তার দলীয় নেতৃবৃন্দ অবৈধভাবে ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রথমে বিশেষ আদালত এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল।

২০১৮ সালের অক্টোবরে বিশেষ আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং অন্য তিন আসামিকেও একই মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং কাকরাইলে অবস্থিত ট্রাস্টের জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর খালেদা জিয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট সেই মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দেন, কারণ আদালত প্রমাণের অভাবে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।