“বসন্তের প্রথম ফুল, জ্বলে ওঠো মহাসংগ্রামে”—এই স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও) আয়োজিত নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশিদুল আলম, জেইউডিও’র মডারেটর অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন রুনু, জেইউডিও’র প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মামুন চৌধুরী এবং সাবেক সভাপতি মুকসিমুল আহসান অপু।বিতর্ক কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন জেইউডিও’র সাবেক সহ-সভাপতি ও টিআইবির উপ-সমন্বয়ক এবং সময় টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপক জাফর সাদিক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও এক্সিলেন্স বাংলাদেশের কর্পোরেট এফেয়ার্স লিড হাসান মাহমুদ সম্রাট।প্রশিক্ষণ পর্বে হাসান মাহমুদ সম্রাট ‘পাবলিক স্কিল ও কমিউনিকেশন স্কিল’-এর উপর বক্তব্য দেন এবং নবীনদের কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেরা পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “জেইউডিও তার সূচনালগ্ন থেকেই বিতর্কের মাধ্যমে যুক্তিদীপ্ত মানুষ গড়ার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখছে । বিতর্ক অন্যতম একটি ভালো গুণ যা মানুষের ব্যক্তিত্ব, চিন্তা-ভাবনা বিকাশে অবদান রাখে । কাজেই, তোমরা যারা প্রথম বর্ষ থেকেই বিতর্কের সাথে সংযুক্ত করছো নিজেদের, তাদের সবাইকে শুভকামনা জানাই ।”
প্রক্টর রাশিদুল আলম বলেন, “বিতর্ক অন্যতম একটি গুণাবলি যা একজন শিক্ষার্থীকে ভালো- মন্দ বিচার করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, সাহসী করে । আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত বিতর্ক করেছি । তাই বিতর্কে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা আমি নিজেও অনুভব করি । বিতর্ক একটি যুক্তিদীপ্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে ।”
বিতর্ক কর্মশালায় জাফর সাদিক বলেন, “ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে বিতর্কের ভূমিকা অনস্বীকার্য । বিতর্ক আপনার মধ্যে কথা বলার সাহস যোগাবে । ন্যায়- অন্যায়ের পার্থক্য ভালো মত অনুধাবন করতে শেখাবে । আপনার মধ্যে নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরী করবে।”
অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক ভাষায় একটি মজার বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ও নবীন শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয় এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেষে জেইউডিও’র সভাপতি মির্জা সাকি ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।