শিরোনাম :
Logo উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের Logo পরীক্ষায় অসদুপায়ের দায়ে নোবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার Logo রমজানের লম্বা ছুটিতে ভোগান্তিতে পরেন ইবির ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা Logo উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ Logo রিজার্ভ ডে থাকছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে Logo চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৮ মাসে মাদক নির্মূলে  অভিযান Logo পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ডাকাতি করে পালানোর সময় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য আটক। Logo হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি Logo ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট’ Logo আগামী নির্বাচনে যে কোন মূল্যে ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম চাই: মামুনুল হক

দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার (৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। নিজেদের ওয়েবসাইটে আইসিডিডিআর,বি বিস্তারিত প্রতিবেদনে এ নিয়ে নানা তথ্য দেয়।

ঢাকায় এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। আক্রান্তদের সম্পর্কে জানানো হয়েছে, এই পাঁচজন রোগী সবাই এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস ছিল না। তারা প্রায় একই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা করিয়েছেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা একই সংক্রমণ শৃঙ্খলের অংশ হতে পারেন।

আরও বিচলিত করার মতো ভয়াবহ তথ্য হলো, এই পাঁচজনের মধ্যে একজন রোগীর দেহে একই সঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাসও শনাক্ত হয়েছে—যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ও ডেঙ্গু ভাইরাসের সহ-সংক্রমণের প্রমাণ।

আইসিডিডিআর,বি বলছে, ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে প্রকাশ করা হয়েছে যে বাংলাদেশি এই স্ট্রেইন এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত। মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক রোগের মতো গুরুতর সংকট দেখা দিতে পারে এতে আক্রান্ত হলে। এই স্ট্রেইন কম্বোডিয়া ও চীনে ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল। এরপর প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু, এর উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার জন্য সর্বোত্তম প্রজনন পরিস্থিতি তৈরি করে। এ কারণে মশাবাহিত অনেক রোগ হয়। ডেঙ্গু ছাড়াও এখানে চিগুনগুনিয়া দেখা গিয়েছিল। এবার জিকা ভাইরাসও শনাক্ত হলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে প্রথম ধরা পড়ে জিকা ভাইরাস। ১৯৫২ সালে প্রথম শনাক্ত হয় মানবদেহে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেক দেশে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। এর লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো হলেও ৮০ ভাগের ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে না। ভাইরাস শরীরে থাকে বছর ধরে। এমনকি জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়ায় ওই রোগ। জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী হলে অথবা গর্ভবতী জিকা আক্রান্ত হলে নানা শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় শিশু।

ট্যাগস :

উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের

দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার (৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। নিজেদের ওয়েবসাইটে আইসিডিডিআর,বি বিস্তারিত প্রতিবেদনে এ নিয়ে নানা তথ্য দেয়।

ঢাকায় এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। আক্রান্তদের সম্পর্কে জানানো হয়েছে, এই পাঁচজন রোগী সবাই এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস ছিল না। তারা প্রায় একই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা করিয়েছেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা একই সংক্রমণ শৃঙ্খলের অংশ হতে পারেন।

আরও বিচলিত করার মতো ভয়াবহ তথ্য হলো, এই পাঁচজনের মধ্যে একজন রোগীর দেহে একই সঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাসও শনাক্ত হয়েছে—যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ও ডেঙ্গু ভাইরাসের সহ-সংক্রমণের প্রমাণ।

আইসিডিডিআর,বি বলছে, ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে প্রকাশ করা হয়েছে যে বাংলাদেশি এই স্ট্রেইন এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত। মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক রোগের মতো গুরুতর সংকট দেখা দিতে পারে এতে আক্রান্ত হলে। এই স্ট্রেইন কম্বোডিয়া ও চীনে ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল। এরপর প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু, এর উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার জন্য সর্বোত্তম প্রজনন পরিস্থিতি তৈরি করে। এ কারণে মশাবাহিত অনেক রোগ হয়। ডেঙ্গু ছাড়াও এখানে চিগুনগুনিয়া দেখা গিয়েছিল। এবার জিকা ভাইরাসও শনাক্ত হলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে প্রথম ধরা পড়ে জিকা ভাইরাস। ১৯৫২ সালে প্রথম শনাক্ত হয় মানবদেহে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেক দেশে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। এর লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো হলেও ৮০ ভাগের ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে না। ভাইরাস শরীরে থাকে বছর ধরে। এমনকি জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়ায় ওই রোগ। জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী হলে অথবা গর্ভবতী জিকা আক্রান্ত হলে নানা শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় শিশু।