মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

ইবিতে নারী নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘চলো যাই যুদ্ধে, ধর্ষকের বিরুদ্ধে’; ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করো, জানোয়ারদের বিচার করো’; ‘আমার বোন রাস্তায় চলবে, নিরাপদে ঘরে ফিরবে’; ‘নারী জাগলে সমাজ জাগবে, ধর্ষকের রাজত্ব ভাঙবে’; ‘আমাদের এই সমাজে, ধর্ষকের ঠাই নাই’; ‘বিচার চাই, আজই চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’; ‘আইন যদি না দেয় শাস্তি, জনতাই দেবে প্রতিবাদ গাঁথি’; ‘তনু, নুসরাত, নীলা, মৌমিতা, আর কত হবে নীরবতা’; ‘রুখে দাঁড়াও সবাই এবার, ধর্ষকের শেষ হবে এবার’; ‘নারী মানে মা-বোন সবার, তাদের প্রতি কেন অত্যাচার?’ ইত্যাদি লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়৷

সুকান্ত দাস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদ থেকে সরিয়ে দিন। আপনাদের আপ্যায়ন করে ঐ চেয়ারে বসানো হয়নি। এই মেয়েরা আপনাদের এই চেয়ারে বসিয়েছে। আপনাদের চেয়ারে বসার রাস্তাটা রক্তরঞ্জিত ছিল। আপনার যদি ধর্ষণের বিচার করতে না পারেন, তাহলে সোজা করে বলে দেন যে আমরা পারব না। একজন ইমাম তাহলে ধর্ষকের যে বিচার করবে, আমরা তা মেনে নেব।’

শাওয়ানা শামীম বলেন, ‘চব্বিশের স্বৈরাচার পতন আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের একটি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এসে আইন ও শাসনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ভাবে নারীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পরে যখন আমরা পুলিশে অভিযোগ দেই তার কিছুদিন পর দেখা যায় ধর্ষকেরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে নারীরা কীভাবে তাদের অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

ইবিতে নারী নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:২৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘চলো যাই যুদ্ধে, ধর্ষকের বিরুদ্ধে’; ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করো, জানোয়ারদের বিচার করো’; ‘আমার বোন রাস্তায় চলবে, নিরাপদে ঘরে ফিরবে’; ‘নারী জাগলে সমাজ জাগবে, ধর্ষকের রাজত্ব ভাঙবে’; ‘আমাদের এই সমাজে, ধর্ষকের ঠাই নাই’; ‘বিচার চাই, আজই চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’; ‘আইন যদি না দেয় শাস্তি, জনতাই দেবে প্রতিবাদ গাঁথি’; ‘তনু, নুসরাত, নীলা, মৌমিতা, আর কত হবে নীরবতা’; ‘রুখে দাঁড়াও সবাই এবার, ধর্ষকের শেষ হবে এবার’; ‘নারী মানে মা-বোন সবার, তাদের প্রতি কেন অত্যাচার?’ ইত্যাদি লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়৷

সুকান্ত দাস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদ থেকে সরিয়ে দিন। আপনাদের আপ্যায়ন করে ঐ চেয়ারে বসানো হয়নি। এই মেয়েরা আপনাদের এই চেয়ারে বসিয়েছে। আপনাদের চেয়ারে বসার রাস্তাটা রক্তরঞ্জিত ছিল। আপনার যদি ধর্ষণের বিচার করতে না পারেন, তাহলে সোজা করে বলে দেন যে আমরা পারব না। একজন ইমাম তাহলে ধর্ষকের যে বিচার করবে, আমরা তা মেনে নেব।’

শাওয়ানা শামীম বলেন, ‘চব্বিশের স্বৈরাচার পতন আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের একটি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এসে আইন ও শাসনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ভাবে নারীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পরে যখন আমরা পুলিশে অভিযোগ দেই তার কিছুদিন পর দেখা যায় ধর্ষকেরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে নারীরা কীভাবে তাদের অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাই।’