শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

দেশে প্রতিদিন অপহরণের শিকার গড়ে ৩ শিশু

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:১৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭২১ বার পড়া হয়েছে

৩ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হয় ৬ বছরের মুনতাহা। নিখোঁজের সাতদিন পর বাড়ির কাছের নালা থেকে উদ্ধার হয় তার মরদেহ। ১৫ নভেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে মালামাল লুট ও ৮ মাসের শিশু জাইফাকে অপহরণ করা হয়। অবশ্য, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয় জাইফাকে।

পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, এমন শিশু অপহরণের ঘটনা দেশে প্রতিদিন হয় গড়ে অন্তত তিনটি। অপহৃত ২৯ ভাগ শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি। অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ ১০ মাসে মারা গেছে ৪৮২ জন শিশু। শিশু অপহরণের পেছনে পারিবারিক শত্রুতা, জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, পাচার ও বিক্রি করা প্রধান উদ্দেশ্য বলে পরিসংখ্যানে জানা গেছে।

পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, ৯ মাসে সারা দেশে অপহরণের মামলা হয়েছে ৬৯৫টি। উদ্ধার হয়েছে ৪৯১ শিশু। উদ্ধার না হওয়া বাকিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানা।

আইন ও সালিস কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মাসে নির্যাতন, সহিংসতা, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৮২ শিশুর। গত বছর একই সময়ে মারা যায় ৪২১ শিশু।

শিশুদের প্রতি অপরাধ বন্ধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ অপরাধ বিশ্লেষকদের।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সামগ্রিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে পরিস্থিতিকে অনুকূলে রাখার, মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করার যে পরিস্থিতি তাও করতে পারছে না। একটা ঘাটতি বা শূন্যতা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।’

শিশুরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না বলে তারা অপরাধীদের সহজ টার্গেট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারেও বাড়ছে শিশু নির্যাতন।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মেখলা সরকার বলেন, দিন দিন আমরা আরও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছি। আমরা আইসোলেশন হয়ে যাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। এবং যখনই আমরা বিচ্ছিন্ন হব, যার ফলে অন্যের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা কমে যাচ্ছে। আমাদের সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটা নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। কাছের মানুষের সঙ্গে নানা পরিবর্তন দেখা যায়।

অংশীজনদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ বিশ্লেষকদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

দেশে প্রতিদিন অপহরণের শিকার গড়ে ৩ শিশু

আপডেট সময় : ১০:১৮:১৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

৩ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হয় ৬ বছরের মুনতাহা। নিখোঁজের সাতদিন পর বাড়ির কাছের নালা থেকে উদ্ধার হয় তার মরদেহ। ১৫ নভেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে মালামাল লুট ও ৮ মাসের শিশু জাইফাকে অপহরণ করা হয়। অবশ্য, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয় জাইফাকে।

পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, এমন শিশু অপহরণের ঘটনা দেশে প্রতিদিন হয় গড়ে অন্তত তিনটি। অপহৃত ২৯ ভাগ শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি। অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ ১০ মাসে মারা গেছে ৪৮২ জন শিশু। শিশু অপহরণের পেছনে পারিবারিক শত্রুতা, জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, পাচার ও বিক্রি করা প্রধান উদ্দেশ্য বলে পরিসংখ্যানে জানা গেছে।

পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, ৯ মাসে সারা দেশে অপহরণের মামলা হয়েছে ৬৯৫টি। উদ্ধার হয়েছে ৪৯১ শিশু। উদ্ধার না হওয়া বাকিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানা।

আইন ও সালিস কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মাসে নির্যাতন, সহিংসতা, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৮২ শিশুর। গত বছর একই সময়ে মারা যায় ৪২১ শিশু।

শিশুদের প্রতি অপরাধ বন্ধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ অপরাধ বিশ্লেষকদের।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সামগ্রিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে পরিস্থিতিকে অনুকূলে রাখার, মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করার যে পরিস্থিতি তাও করতে পারছে না। একটা ঘাটতি বা শূন্যতা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।’

শিশুরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না বলে তারা অপরাধীদের সহজ টার্গেট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারেও বাড়ছে শিশু নির্যাতন।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মেখলা সরকার বলেন, দিন দিন আমরা আরও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছি। আমরা আইসোলেশন হয়ে যাচ্ছি। মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। এবং যখনই আমরা বিচ্ছিন্ন হব, যার ফলে অন্যের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা কমে যাচ্ছে। আমাদের সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটা নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। কাছের মানুষের সঙ্গে নানা পরিবর্তন দেখা যায়।

অংশীজনদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ বিশ্লেষকদের।