শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

জাবির ইন্সটিটিউটের নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাতিলের দাবি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তনসহ তিন দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সকাল ১০টার দিকে উপাচার্যের কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে ইন্সটিটিউটের নাম সংস্কার করে শুধু ‘তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট’ করতে হবে। অনতিবিলম্বে ইন্সটিউটকে বিসিএস বিষয় কোডে অন্তর্ভুক্ত এবং অতিদ্রুত ইন্সটিউটের ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহান শরীফ বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ আছে, কিন্তু কোনো ব্যক্তির নামে নেই। শুধু আমাদের বিভাগ ব্যক্তির নাম দিয়ে। আমরা এ বিষয়টির যৌক্তিক সংস্কার চাই। এছাড়া বিভাগের পরিচালক ও সব আবর্তনের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।’

৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেরাব সিফাত বলেন, ‘তুলনামূলক সাহিত্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য একটি ডিসিপ্লিন হলেও বাংলাদেশে কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়টি স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এই ইন্সটিটিউটের এখন বেহাল। সেশনজট, ক্লাসরুম সংকট, শিক্ষক সংকট ও নতুন বিষয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক সংকটের কারণে ইন্সটিটিউটে প্রকট সমস্যা দেখা দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া এই ইন্সটিটিউটেও লাগুক, সেটিই এখানকার শিক্ষার্থীদের দাবি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘ব্যক্তির নামে কোনো বিভাগ থাকতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করব।’ প্রয়োজনে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার কথাও তিনি জানান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ২০১৭ সালে ৪৭তম ব্যাচ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে গত সাত বছরে একটি ব্যাচও তাদের স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

জাবির ইন্সটিটিউটের নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাতিলের দাবি

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তনসহ তিন দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সকাল ১০টার দিকে উপাচার্যের কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে ইন্সটিটিউটের নাম সংস্কার করে শুধু ‘তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট’ করতে হবে। অনতিবিলম্বে ইন্সটিউটকে বিসিএস বিষয় কোডে অন্তর্ভুক্ত এবং অতিদ্রুত ইন্সটিউটের ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহান শরীফ বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ আছে, কিন্তু কোনো ব্যক্তির নামে নেই। শুধু আমাদের বিভাগ ব্যক্তির নাম দিয়ে। আমরা এ বিষয়টির যৌক্তিক সংস্কার চাই। এছাড়া বিভাগের পরিচালক ও সব আবর্তনের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।’

৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেরাব সিফাত বলেন, ‘তুলনামূলক সাহিত্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য একটি ডিসিপ্লিন হলেও বাংলাদেশে কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়টি স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এই ইন্সটিটিউটের এখন বেহাল। সেশনজট, ক্লাসরুম সংকট, শিক্ষক সংকট ও নতুন বিষয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক সংকটের কারণে ইন্সটিটিউটে প্রকট সমস্যা দেখা দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া এই ইন্সটিটিউটেও লাগুক, সেটিই এখানকার শিক্ষার্থীদের দাবি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘ব্যক্তির নামে কোনো বিভাগ থাকতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করব।’ প্রয়োজনে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার কথাও তিনি জানান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ২০১৭ সালে ৪৭তম ব্যাচ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে গত সাত বছরে একটি ব্যাচও তাদের স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেনি।