শুক্রবার | ৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে এআই ফর একাডেমিক এন্ড রিসার্চ এক্সিলেন্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo জলবায়ু-সহনশীল জীবিকার পথে ‘ফ্ল্যাশ’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু Logo একাডেমিক সংস্কারের দাবিতে জাতীয় ছাত্রশক্তির ৫ দফা প্রস্তাব Logo চাঁদপুর সদরের মাদ্রাসা প্রধানদের সাথে ইউএনওর মতবিনিময় Logo ফুটবল ফিয়েস্তা ২.০ বিজয়ী টিএফডি, খেলাকেন্দ্রিক কোন্দলে উত্তেজনা কাটেনি তিন দিনেও Logo তাপমাত্রা কমলেই বাড়ে হৃদপিণ্ডের চাপ Logo বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা Logo ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও বেরোবির মাঝে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত Logo চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক Logo বাংলাদেশ থেকে শুভারম্ভন হলো ‘ফোবানার ৪০ তম বর্ষপূর্তি উৎসব আয়োজন

শেরপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর হয়নি, রাখা হয়েছিল পেট্রোল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের শ্রীবরদীতে শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ও সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে সাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিপ্লব দাম ঠান্ডু। সেখানে বলা হয়, শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে দুইটি মন্দিরের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে।

গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বারোয়ারী মন্দিরের তালার চেইন কেটে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য প্রস্তুতাধীন প্রতিমাগুলো একত্র করে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির একটি প্রতিনিধি টিম সরেজমিন মন্দিরটি পরিদর্শন করে এবং প্রতিমাগুলো অক্ষত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনাস্থল ভায়াডাঙ্গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। তবে প্রতিমা একত্রে রাখার বিষয়টিকেই গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

বিপ্লব দাম ঠান্ডু আরও বলেন, ওই মন্দিরে প্রতিমাগুলো একত্র করা হয়েছিল। ওখানে আগুন দেওয়ার জন্য পেট্রোল রেখে দিয়েছিল। কিন্তু আগুন দেয়নি। তার মানে এটা পরিকল্পিত ঘটনা। দুর্গা পূজাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ও ভয় দেখাতে কিছু দুস্কৃতিকারী পরিকল্পিতভাবে এটা ঘটিয়েছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভায়াডাঙ্গায় দুটি মন্দিরের মধ্যে কোন মন্দিরে দুর্গা পূজার মন্ডপ হবে সেটি নিয়ে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আমি ইতোমধ্যে দুপক্ষকেই বলেছি, যাতে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে। নাহলে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সুজিত দাস সুমন, মিঠুন চন্দ্র পাল, রাজন চন্দ্র দাস, লিটন প্রসাদ রায় সেতু সাহা, রতন কুমার সাহা, নব কুমার সাহা, প্রণব সাহা, ভায়াডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি সাজু বাসফর, সাধারণ সম্পাদক বীর গুণ রবিদাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারের শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরের তালার চেইন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর এবং পেট্রোল, কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভায়াডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি সাজু বাসফর। ওই ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ভায়াডাঙ্গায় প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে সাজু বাসফর বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে আজ একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ওনারা সেখানে যেটি বলেছেন সেটি আমরা আন্দাজ করেছিলাম। কিন্তু ঘটনা ঘটলে তো মামলা নিতেই হয়। এখন তদন্তে প্রকৃত ঘটনা কি সেটি বেরিয়ে আসবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে এআই ফর একাডেমিক এন্ড রিসার্চ এক্সিলেন্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শেরপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর হয়নি, রাখা হয়েছিল পেট্রোল

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেরপুরের শ্রীবরদীতে শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ও সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে সাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিপ্লব দাম ঠান্ডু। সেখানে বলা হয়, শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে দুইটি মন্দিরের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে।

গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বারোয়ারী মন্দিরের তালার চেইন কেটে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য প্রস্তুতাধীন প্রতিমাগুলো একত্র করে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির একটি প্রতিনিধি টিম সরেজমিন মন্দিরটি পরিদর্শন করে এবং প্রতিমাগুলো অক্ষত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনাস্থল ভায়াডাঙ্গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। তবে প্রতিমা একত্রে রাখার বিষয়টিকেই গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

বিপ্লব দাম ঠান্ডু আরও বলেন, ওই মন্দিরে প্রতিমাগুলো একত্র করা হয়েছিল। ওখানে আগুন দেওয়ার জন্য পেট্রোল রেখে দিয়েছিল। কিন্তু আগুন দেয়নি। তার মানে এটা পরিকল্পিত ঘটনা। দুর্গা পূজাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ও ভয় দেখাতে কিছু দুস্কৃতিকারী পরিকল্পিতভাবে এটা ঘটিয়েছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভায়াডাঙ্গায় দুটি মন্দিরের মধ্যে কোন মন্দিরে দুর্গা পূজার মন্ডপ হবে সেটি নিয়ে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আমি ইতোমধ্যে দুপক্ষকেই বলেছি, যাতে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে। নাহলে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সুজিত দাস সুমন, মিঠুন চন্দ্র পাল, রাজন চন্দ্র দাস, লিটন প্রসাদ রায় সেতু সাহা, রতন কুমার সাহা, নব কুমার সাহা, প্রণব সাহা, ভায়াডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি সাজু বাসফর, সাধারণ সম্পাদক বীর গুণ রবিদাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারের শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরের তালার চেইন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর এবং পেট্রোল, কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভায়াডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি সাজু বাসফর। ওই ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ভায়াডাঙ্গায় প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে সাজু বাসফর বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে আজ একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ওনারা সেখানে যেটি বলেছেন সেটি আমরা আন্দাজ করেছিলাম। কিন্তু ঘটনা ঘটলে তো মামলা নিতেই হয়। এখন তদন্তে প্রকৃত ঘটনা কি সেটি বেরিয়ে আসবে।