শিরোনাম :
Logo শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র”

পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানায় মিলল মানুষের মাথার খুলি-হাড়গোড়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সম্প্রতি আগুনে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে ঢুকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পেয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। ভবনটিতে পাওয়া ওইসব দেহাবশেষ পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক গাজী টায়ারের কারখানায় আগুন নিয়ে গণশুনানি করেন। গণশুনানি শেষে স্বজনরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ঢুকে পড়েন। তাদের অনেকে ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে যান। সেখানে মেঝেতে পুড়ে যাওয়া বেশ কিছু হাড় ও মাথার খুলি পান তারা।

গত ২৫ আগস্ট দিনভর লুটপাটের পর রাতে কারখানাটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন উপজেলার মৈকুলী গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শাহাদাত হোসেন। ভাইয়ের খোঁজে অন্যদের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত ওঠেন সিনথিয়া। সেখানে একটি মাথার খুলি পান তিনি। যার অধিকাংশই পুড়ে গেছে।

সিনথিয়া বলেন, সবার সঙ্গে আমিও ফ্যাক্টরিতে ঢুইকা যাই। তিন তলায় হাড়গোড় দেখছি অনেক। অনেকেই হাতে নিয়া গেছে। আমিও একটা খুলি নিয়া আসছি।

পরবর্তীতে অন্যদের মতো সিনথিয়াও খুলিটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

এর আগে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি কারখানার চত্বরে গণশুনানির আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে এ গণশুনানি। এ সময় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির লোকজন। তাদের কাছ থেকে নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গণশুনানিতে ৭৮টি পরিবার অংশগ্রহণ করেন বলে জানান কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যখন গণশুনানি শেষে উপজেলা পরিষদে গিয়ে বসি তখন জানতে পারি স্বজনরা ভবনটির ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং সেখানে মানুষের কিছু হাড়গোড় পেয়েছেন তারা। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের নির্দেশনা দেন। আমরা এসব দেহাবশেষ সংগ্রহ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিই। স্বজনরা খুঁজে পাওয়া দেহাবশেষগুলো জমা দিয়েছেন। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এসব দেহাবশেষ শনাক্তের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানায় মিলল মানুষের মাথার খুলি-হাড়গোড়

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সম্প্রতি আগুনে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে ঢুকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পেয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। ভবনটিতে পাওয়া ওইসব দেহাবশেষ পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক গাজী টায়ারের কারখানায় আগুন নিয়ে গণশুনানি করেন। গণশুনানি শেষে স্বজনরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ঢুকে পড়েন। তাদের অনেকে ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে যান। সেখানে মেঝেতে পুড়ে যাওয়া বেশ কিছু হাড় ও মাথার খুলি পান তারা।

গত ২৫ আগস্ট দিনভর লুটপাটের পর রাতে কারখানাটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন উপজেলার মৈকুলী গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শাহাদাত হোসেন। ভাইয়ের খোঁজে অন্যদের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত ওঠেন সিনথিয়া। সেখানে একটি মাথার খুলি পান তিনি। যার অধিকাংশই পুড়ে গেছে।

সিনথিয়া বলেন, সবার সঙ্গে আমিও ফ্যাক্টরিতে ঢুইকা যাই। তিন তলায় হাড়গোড় দেখছি অনেক। অনেকেই হাতে নিয়া গেছে। আমিও একটা খুলি নিয়া আসছি।

পরবর্তীতে অন্যদের মতো সিনথিয়াও খুলিটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

এর আগে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি কারখানার চত্বরে গণশুনানির আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে এ গণশুনানি। এ সময় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির লোকজন। তাদের কাছ থেকে নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গণশুনানিতে ৭৮টি পরিবার অংশগ্রহণ করেন বলে জানান কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যখন গণশুনানি শেষে উপজেলা পরিষদে গিয়ে বসি তখন জানতে পারি স্বজনরা ভবনটির ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং সেখানে মানুষের কিছু হাড়গোড় পেয়েছেন তারা। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের নির্দেশনা দেন। আমরা এসব দেহাবশেষ সংগ্রহ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিই। স্বজনরা খুঁজে পাওয়া দেহাবশেষগুলো জমা দিয়েছেন। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এসব দেহাবশেষ শনাক্তের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।