শিরোনাম :
Logo সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রাণনাশের হুমকির’ অভিযোগ- অভিযুক্তের অস্বীকার Logo শেরপুরে নলকূপ খননে গ্যাসের সন্ধান, আগুনে রান্না করছেন স্থানীয়রা! Logo ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক: শাহাদত হোসেন বিপ্লব Logo কালিবাড়ি মোড়ে ‘কাশমিরী সুইটস এন্ড লাইভ বেকারী’র শুভ উদ্বোধন! Logo জলবায়ু পরিবর্তন, এসআরএইচআর ও সেবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে চাঁদপুরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা Logo ইবিতে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ক্যাম্পাস ২০২৫’ Logo ১২নং বল্লী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo বেইস ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর কর্মকর্তা বৃন্দ অনাকাঙ্ক্ষিত মানববন্ধনের বিপরীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন Logo জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার সরবরাহের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ Logo খুবির ক্যারিয়ার ক্লাবের ‘পাবলিক স্পিকিং’ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ শহরে অপরিকল্পিত বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। ঝিনাইদহ জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমী, গীতাঞ্জলি সড়ক, পায়রা চত্বর, ব্যাপারিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পিলারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য তার। বোঝার উপায় নেই কোন সংযোগ কোথায় গেছে। বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি এসব স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল লাইনের তার। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এসব কারণে শহরেই চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পিলার, ট্রান্সফরমার ও বাসাবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সফরমার থেকে শর্ট সার্কিটে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আগুন লাগে।

ঝিনাইদহ জেলা শহরের অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র গীতাঞ্জলি সড়ক। এটি সোনার ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে অনেক বাসাবাড়ি। এখানেই একটি পিলার থেকে নেওয়া হয়েছে শতাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ। জড়িয়ে আছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারও। শিল্পকলা একাডেমী-সংলগ্ন ট্রান্স ফরমারের চিত্রও একই। এই সড়কের একজন স্বর্ণকার পঞ্চরেশ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

পিলারের তারগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই ভাবে শহরের প্রতিটা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।’ ওই এলাকার ব্যবসায়ী এবং আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা বার বার বিদ্যুৎ বিভাগকে (ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড- ওজোপাডিকো) জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ঠিকমতো মেইনটেনেন্সও করে না।

এই গীতাঞ্জলি সড়কে আগুন লাগলে শহরের একাংশ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সুমন আলী বলেন, ‘এবছর বৈদ্যুতিক কারণে শহরে আগুন লাগার ঘটনা বেশি। নেভাতে গিয়ে দেখি সংযোগস্থলে অপরিকল্পিত তারের কারণেই বেশির ভাগ আগুনের সূত্রপাত। এই সংযোগ গুলো যদি নিরাপদ করা যেত এবং পিলার বা ট্রান্সফরমার সংরক্ষিত রাখা যেত তাহলে আগুন লাগার হার একবারেই কমে যেত।’ এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষচন্দ্র সরকার বলেন, ‘এসব তার মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব আমাদের না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রাণনাশের হুমকির’ অভিযোগ- অভিযুক্তের অস্বীকার

ঝিনাইদহ শহরে অপরিকল্পিত বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি!

আপডেট সময় : ০২:০৪:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। ঝিনাইদহ জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমী, গীতাঞ্জলি সড়ক, পায়রা চত্বর, ব্যাপারিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পিলারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য তার। বোঝার উপায় নেই কোন সংযোগ কোথায় গেছে। বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি এসব স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল লাইনের তার। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এসব কারণে শহরেই চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পিলার, ট্রান্সফরমার ও বাসাবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সফরমার থেকে শর্ট সার্কিটে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আগুন লাগে।

ঝিনাইদহ জেলা শহরের অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র গীতাঞ্জলি সড়ক। এটি সোনার ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে অনেক বাসাবাড়ি। এখানেই একটি পিলার থেকে নেওয়া হয়েছে শতাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ। জড়িয়ে আছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারও। শিল্পকলা একাডেমী-সংলগ্ন ট্রান্স ফরমারের চিত্রও একই। এই সড়কের একজন স্বর্ণকার পঞ্চরেশ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

পিলারের তারগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই ভাবে শহরের প্রতিটা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।’ ওই এলাকার ব্যবসায়ী এবং আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা বার বার বিদ্যুৎ বিভাগকে (ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড- ওজোপাডিকো) জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ঠিকমতো মেইনটেনেন্সও করে না।

এই গীতাঞ্জলি সড়কে আগুন লাগলে শহরের একাংশ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সুমন আলী বলেন, ‘এবছর বৈদ্যুতিক কারণে শহরে আগুন লাগার ঘটনা বেশি। নেভাতে গিয়ে দেখি সংযোগস্থলে অপরিকল্পিত তারের কারণেই বেশির ভাগ আগুনের সূত্রপাত। এই সংযোগ গুলো যদি নিরাপদ করা যেত এবং পিলার বা ট্রান্সফরমার সংরক্ষিত রাখা যেত তাহলে আগুন লাগার হার একবারেই কমে যেত।’ এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষচন্দ্র সরকার বলেন, ‘এসব তার মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব আমাদের না।