শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

ঝিনাইদহ শহরে অপরিকল্পিত বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। ঝিনাইদহ জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমী, গীতাঞ্জলি সড়ক, পায়রা চত্বর, ব্যাপারিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পিলারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য তার। বোঝার উপায় নেই কোন সংযোগ কোথায় গেছে। বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি এসব স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল লাইনের তার। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এসব কারণে শহরেই চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পিলার, ট্রান্সফরমার ও বাসাবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সফরমার থেকে শর্ট সার্কিটে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আগুন লাগে।

ঝিনাইদহ জেলা শহরের অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র গীতাঞ্জলি সড়ক। এটি সোনার ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে অনেক বাসাবাড়ি। এখানেই একটি পিলার থেকে নেওয়া হয়েছে শতাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ। জড়িয়ে আছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারও। শিল্পকলা একাডেমী-সংলগ্ন ট্রান্স ফরমারের চিত্রও একই। এই সড়কের একজন স্বর্ণকার পঞ্চরেশ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

পিলারের তারগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই ভাবে শহরের প্রতিটা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।’ ওই এলাকার ব্যবসায়ী এবং আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা বার বার বিদ্যুৎ বিভাগকে (ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড- ওজোপাডিকো) জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ঠিকমতো মেইনটেনেন্সও করে না।

এই গীতাঞ্জলি সড়কে আগুন লাগলে শহরের একাংশ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সুমন আলী বলেন, ‘এবছর বৈদ্যুতিক কারণে শহরে আগুন লাগার ঘটনা বেশি। নেভাতে গিয়ে দেখি সংযোগস্থলে অপরিকল্পিত তারের কারণেই বেশির ভাগ আগুনের সূত্রপাত। এই সংযোগ গুলো যদি নিরাপদ করা যেত এবং পিলার বা ট্রান্সফরমার সংরক্ষিত রাখা যেত তাহলে আগুন লাগার হার একবারেই কমে যেত।’ এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষচন্দ্র সরকার বলেন, ‘এসব তার মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব আমাদের না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ঝিনাইদহ শহরে অপরিকল্পিত বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি!

আপডেট সময় : ০২:০৪:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। ঝিনাইদহ জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমী, গীতাঞ্জলি সড়ক, পায়রা চত্বর, ব্যাপারিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পিলারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য তার। বোঝার উপায় নেই কোন সংযোগ কোথায় গেছে। বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি এসব স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল লাইনের তার। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এসব কারণে শহরেই চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পিলার, ট্রান্সফরমার ও বাসাবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সফরমার থেকে শর্ট সার্কিটে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আগুন লাগে।

ঝিনাইদহ জেলা শহরের অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র গীতাঞ্জলি সড়ক। এটি সোনার ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে অনেক বাসাবাড়ি। এখানেই একটি পিলার থেকে নেওয়া হয়েছে শতাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ। জড়িয়ে আছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারও। শিল্পকলা একাডেমী-সংলগ্ন ট্রান্স ফরমারের চিত্রও একই। এই সড়কের একজন স্বর্ণকার পঞ্চরেশ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

পিলারের তারগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই ভাবে শহরের প্রতিটা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।’ ওই এলাকার ব্যবসায়ী এবং আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা বার বার বিদ্যুৎ বিভাগকে (ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড- ওজোপাডিকো) জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ঠিকমতো মেইনটেনেন্সও করে না।

এই গীতাঞ্জলি সড়কে আগুন লাগলে শহরের একাংশ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সুমন আলী বলেন, ‘এবছর বৈদ্যুতিক কারণে শহরে আগুন লাগার ঘটনা বেশি। নেভাতে গিয়ে দেখি সংযোগস্থলে অপরিকল্পিত তারের কারণেই বেশির ভাগ আগুনের সূত্রপাত। এই সংযোগ গুলো যদি নিরাপদ করা যেত এবং পিলার বা ট্রান্সফরমার সংরক্ষিত রাখা যেত তাহলে আগুন লাগার হার একবারেই কমে যেত।’ এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষচন্দ্র সরকার বলেন, ‘এসব তার মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব আমাদের না।