বৃহস্পতিবার | ৬ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা Logo ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও বেরোবির মাঝে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত Logo চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক Logo বাংলাদেশ থেকে শুভারম্ভন হলো ‘ফোবানার ৪০ তম বর্ষপূর্তি উৎসব আয়োজন Logo বাবার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা! Logo শ্লীলতাহানির মামলা করে ফের শ্লীলতাহানির শিকার ঝিনাইদহের নারী Logo ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত Logo ইবিতে সাংবাদিক মারধর—তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, নয়জনকে সতর্ক বার্তা Logo হাপানীয়া যুব সংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ঝুড়ি বিতরণ

অবশেষে পেঁয়াজে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অবশেষে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার হলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ এক দফা নাকচের পর আজ রোববার সেই পেঁয়াজে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করতে রাজি হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। এর আগে আজই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আমদানি শুল্ক কমানোর সারসংক্ষেপে সই করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়। আগামী মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

ভারত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশে পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে দাম পড়তি। ইতিমধ্যে ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিশর, তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বড় ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহী হচ্ছেন। অবশ্য সীমান্তে আটকে থাকা পেঁয়াজভর্তি ট্রাক ছাড়ার বিশেষ অনুমতি দিয়েছে ভারত।

পেঁয়াজের অনুৎপাদনশীল মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস। এ সময়ের কথা বিবেচনা করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজে নির্ধারিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করে এনবিআরকে চিঠি লেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাজারে নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে, সে জন্য এই অনুরোধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এনবিআর সেই দাবি নাকচ করে দেয়। কাকতালীয়ভাবে ভারত যেদিন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিল, সেদিনই বাণিজ্যসচিবকে নাকচের চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে দেশের চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। পেঁয়াজের আমদানি–নির্ভরশীলতা বাড়বে। সার্বিকভাবে দেশের পেঁয়াজচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর ৫% আমদানি শুল্কের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দামে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না।
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আবারও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করে। এবারের অনুরোধ আর ফেলতে পারেনি এনবিআর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা

অবশেষে পেঁয়াজে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

অবশেষে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার হলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ এক দফা নাকচের পর আজ রোববার সেই পেঁয়াজে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করতে রাজি হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর। এর আগে আজই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আমদানি শুল্ক কমানোর সারসংক্ষেপে সই করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়। আগামী মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

ভারত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশে পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে দাম পড়তি। ইতিমধ্যে ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিশর, তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বড় ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহী হচ্ছেন। অবশ্য সীমান্তে আটকে থাকা পেঁয়াজভর্তি ট্রাক ছাড়ার বিশেষ অনুমতি দিয়েছে ভারত।

পেঁয়াজের অনুৎপাদনশীল মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস। এ সময়ের কথা বিবেচনা করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজে নির্ধারিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করে এনবিআরকে চিঠি লেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাজারে নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে, সে জন্য এই অনুরোধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এনবিআর সেই দাবি নাকচ করে দেয়। কাকতালীয়ভাবে ভারত যেদিন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিল, সেদিনই বাণিজ্যসচিবকে নাকচের চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে দেশের চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। পেঁয়াজের আমদানি–নির্ভরশীলতা বাড়বে। সার্বিকভাবে দেশের পেঁয়াজচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর ৫% আমদানি শুল্কের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দামে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না।
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আবারও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করে। এবারের অনুরোধ আর ফেলতে পারেনি এনবিআর।