শিরোনাম :
Logo বিচারহীনতার প্রতিবাদে ইবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল Logo নাব্যতা হারিয়ে ঝালকাঠির খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী খালে পরিনত হচ্ছে, খননের দাবী এলাকাবাসীর Logo এফডিসির গেইটে রান্না করে গোয়ার সিনেমার প্রচার,নজির গড়লেন নায়ক রাসেল মিয়া Logo কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা Logo বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫ Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ৩১ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ, শিশুকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ Logo বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে আইএমএফের প্রশংসা Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের স্পে-নিউটার ও টিকাদান কার্যক্রম শুরু! Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযানে ছয় লাখ টাকার মালামাল জব্দ! Logo চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পাশে অবস্থিত “হ্যাচ ফ্যাচ” নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে দরজা ভেঙে আশীক (২১) নামের এক বাবুর্চির লাশ উদ্ধার

বৈরী আবহাওয়া আর অসময়ে বৃষ্টি: ঝিনাইদহে পাট চাষে লোকসানে চাষী

  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭৯ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ

বৈরী আবহাওয়া আর অসময়ে বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহে পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন চাষীরা। ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ জমির পাট জমি থেকে কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ২২ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২’শ ২০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৬’শ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮’শ ২০ হেক্টর, মহেশপুরে ৩ হাজার ২’শ ১০ হেক্টর, শৈলকুপায় ৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর ও হরিণাকুন্ডুুতে ৩ হাজার ৬’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৪’শ ৯৬ মেট্টিক টন। পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে কৃষকরা বলছেন, পাটের বাড়ন্ত সময় বৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামের পাটচাষী রুহুল আমিন জানান, পাটবীজ জমিতে রোপন করার পর পাটের চারা ভালো গজিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পাটের গোড়ায় শেকড় গজিয়ে যায়।

যে কারণে র বাড়ন্ত কমে যাওয়ায় এবার ফলন কম হয়েছে। মহেশপুর উপজেলার সামান্তা গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে একটি জমির পাট বড় না হওয়ায় শুরুর দিকে তা কেটে অন্য আবাদ করছি। ২ বিঘা জমিতে যে পাট ছিল তারও ফলন ভালো হয়নি। এবছর পাট চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে এ বছর পাটের আবাদ করেছেন। পাট বীজ, চাষাবাদ, সার প্রয়োগ, নিড়ানী, পাট পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ, পাট জমি থেকে কেটে পানিতে জাগ দেওয়া, আশ ছাড়ানো পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা। ২২ কাঠা জমিতে তিনি পাট আশা করছেন ১৩ থেকে ১৪ মন। যার বর্তমান বাজার মুল্যে ২৮ হাজার টাকা।

পাটকাঠি বিক্রি হবে ৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে তার লোকসান হচ্ছে ১ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আমার জমিতে অন্যদের তুলনায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবুও লোকসান হবে। তাহলে যাদের ফলণ ভালো হয়নি তাদের কি পরিমান লোকসান গুনতে হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রামের পাটচাষী রাশেদ মোল্লা বলেন, বর্তমানে বাজারে পাটের দাম ১৬’শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও উৎপাদন কম হওয়ায় এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও পুরণ হচ্ছে না উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।

এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন প্রনোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহযোগিতা করার হবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিচারহীনতার প্রতিবাদে ইবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল

বৈরী আবহাওয়া আর অসময়ে বৃষ্টি: ঝিনাইদহে পাট চাষে লোকসানে চাষী

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০২০

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ

বৈরী আবহাওয়া আর অসময়ে বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহে পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন চাষীরা। ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ জমির পাট জমি থেকে কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ২২ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২’শ ২০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৬’শ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮’শ ২০ হেক্টর, মহেশপুরে ৩ হাজার ২’শ ১০ হেক্টর, শৈলকুপায় ৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর ও হরিণাকুন্ডুুতে ৩ হাজার ৬’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৪’শ ৯৬ মেট্টিক টন। পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে কৃষকরা বলছেন, পাটের বাড়ন্ত সময় বৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামের পাটচাষী রুহুল আমিন জানান, পাটবীজ জমিতে রোপন করার পর পাটের চারা ভালো গজিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পাটের গোড়ায় শেকড় গজিয়ে যায়।

যে কারণে র বাড়ন্ত কমে যাওয়ায় এবার ফলন কম হয়েছে। মহেশপুর উপজেলার সামান্তা গ্রামের কৃষক সবুজ মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে একটি জমির পাট বড় না হওয়ায় শুরুর দিকে তা কেটে অন্য আবাদ করছি। ২ বিঘা জমিতে যে পাট ছিল তারও ফলন ভালো হয়নি। এবছর পাট চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে এ বছর পাটের আবাদ করেছেন। পাট বীজ, চাষাবাদ, সার প্রয়োগ, নিড়ানী, পাট পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ, পাট জমি থেকে কেটে পানিতে জাগ দেওয়া, আশ ছাড়ানো পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা। ২২ কাঠা জমিতে তিনি পাট আশা করছেন ১৩ থেকে ১৪ মন। যার বর্তমান বাজার মুল্যে ২৮ হাজার টাকা।

পাটকাঠি বিক্রি হবে ৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে তার লোকসান হচ্ছে ১ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আমার জমিতে অন্যদের তুলনায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবুও লোকসান হবে। তাহলে যাদের ফলণ ভালো হয়নি তাদের কি পরিমান লোকসান গুনতে হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রামের পাটচাষী রাশেদ মোল্লা বলেন, বর্তমানে বাজারে পাটের দাম ১৬’শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও উৎপাদন কম হওয়ায় এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষীদের। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও পুরণ হচ্ছে না উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।

এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন প্রনোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহযোগিতা করার হবে।