নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামে সাবিনা খাতনু নামে এক গৃহবধু স্বামী শাশুড়ীর অত্যাচারে এক কন্যা সন্তান নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। স্বামী সোহাগ সন্তান ও স্ত্রী ফেলে মাগুরায় নতুন বিয়ে করেছেন। স্বামীর বাড়িতে শ্বশুড়ির নির্মম অত্যাচার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছেন সাবিনা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ৪ বছর আগে ভারতের হাসখালি থানার ছোট চোবড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের কন্যা সাবিনা খাতুনকে আত্মীয়তা সুত্রে বিয়ে কেরন মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউপির পদ্মপুকুর গ্রামের আলমের ছেলে সোহাগ (২৭)।
বিয়ের দুই বছরের মাথায় এই দম্পত্তির কোল জুড়ে আসে এক মেয়ে সন্তান। মেয়ে হওয়ার পর স্বামী সোহাগ পাড়ি জমায় বিদেশে। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সে স্ত্রীর সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখেনি। সাবিনার উপর চলতে থাকে স্বামী শাশুড়ীর অমানুষিক অত্যাচার। গত ৩ মাস আগে স্বামী সোহাগ বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই দ্বিতীয় বিয়ে করে মাগুরায় থিতু হয়।
অপরদিকে তার প্রথম স্ত্রী ও কন্যার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে স্বামী সোহাগ ও শাশুড়ী সুফিয়া মিলে মিথ্যা কথ রটিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা চালায়। গৃহবধু সাবিনার এ দেশে তার কোন আপনজন না থাকায় সে আইনের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। মেয়েটি বর্তমান তার স্বামীর বাড়িতে নির্যাতিত হয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে। তাকে সহায়তা করার মতো এলাকায় কেও কি নেই ? এ ব্যাপারে শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ হক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তো আমাকে কেও জানায় নি। অভিযোগ করলে আমি গ্রাম আদালতে সুষ্ঠ বিচারের ব্যবস্থা করবো।