নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে চার চোরকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মোবাইল চোর হলেও বাকি তিনজন একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডঙ্গা সদর উপজেলার ফার্মপাড়া, হকপাড়া ও দীননাথপুর গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাফফার হোসেন (২০), শফিকুল (২২), জনি ওরফে ছোট জনি (২৫) ও হাফিজুল ইসলাম (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ি পুলিশ জানতে পারে, রেলবাজার এলাকার একটি ভাংড়ির দোকানে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফার্মপাড়ার গাফফার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহর ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (টিএসআই) ওহিদুল ইসলামসহ ফোর্স ফার্মপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে গাফফারকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেলবাজার এলাকার ভাংড়ির দোকানে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের নামও তিনি বলেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ চোর নওগা জেলার ধামরাই উপজেলার কাশপিুর গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে মাদক মামলার আসামি শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়াও ওই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি ফার্মপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জনি ওরফে ছোট জনিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরা সবাই রেলবাজার এলাকার একটি ভাংড়ির দোকানে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে তাঁরা স্বীকার করেন।
অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের সুজনের দোকান থেকে মোবাইল চুরির অভিযোগে একই এলাকার হাফিজুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করে মারধর করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক শেখ শাহিনসহ পুলিশের একটি দল দীননাথপুর বাজার থেকে হাফিজুলকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেয়। গ্রেপ্তার হাফিজুল একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার এসব চোরদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিল। আজ বুধবার গ্রেপ্তার এসব আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে থানার পুলিশ।
সংঘবদ্ধ চোরের দলের তিনজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, তাঁদের একজন মোবাইল চোর। অপর তিনজন একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল। তাঁরা কৌশলে রেল বাজার এলাকায় একটি ভাংড়ির দোকানে চুরি করে পালিয়ে যান। এসব চোরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজ তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।