মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দর্শনা শাখা অফিসের নাম ভাঙিয়ে নানা অনিয়ম
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দর্শনা সাব জোনাল অফিসের নাম ভাঙিয়ে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ গ্রাহকদেরকে ভুল বুঝিয়ে মিটার-সংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সজিবের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হাজির করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার পর সজিবকে (২৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের পশ্চিমপাড়ার নবীছদ্দিনের ছেলে সজিব (২৫) নামের এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দর্শনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নাম ভাঙিয়ে এলাকার সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানিসহ মিটার-সংযোগ, মিটার স্থানান্তর, অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগের সহযোগিতা ও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ছয়ঘরি গ্রামের ইসমাইলের ছেলে রহিম হোসেন রিপনের কাছ থেকে মিটার-সংযোগ দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ২ হাজার টাকা নেন সজিব এবং মিটার-সংযোগের পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এ সময় মাত্র চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে মিটার-সংযোগ দিতে এ কথাও জানান তিনি। কিন্তু সপ্তাহ পার হলেও মিটার না দেওয়াতে রিপন তাঁকে ধরে মিটার দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
‘মিটার আসার আগ পর্যন্ত আমি একটা ব্যবস্থা করছি’, সজিব এ কথা বলে সরাসরি মেইন লাইন থেকে তার দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেন। কয়েক দিন এভাবে চলার পর দর্শনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ওই লাইন চেকিংয়ে গেলে তা তাঁদের চোখে পড়ে। এ সময় তাঁরা সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ রিপনকে জরিমানাও করতে চান। অবৈধ সংযোগ নেওয়া রিপন সব সত্য স্বীকার করে বলেন, ‘এ সংযোগ আমি নিইনি। আমি মিটার নেওয়ার জন্যই টাকা জমা দিয়েছি, কিন্তু আপনাদের অফিসের সজিব মিটার-সংযোগ দিতে দেরি করায় এভাবে লাইন লাগিয়ে দিয়ে গেছেন।’ পরে অভিযুক্ত সজিবকে অফিসে হাজির করলে তিনি সব স্বীকার করেন। সজিবের স্বীকারোক্তি ও সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দর্শনা সাব জোনাল অফিসের এজিএম অমিত বিশ্বাস অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং মুচলেকা নিয়ে তাঁকে মুক্তি দেন।
দর্শনা অফিস: