বৃহস্পতিবার | ১ জানুয়ারি ২০২৬ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo রাতে হাসপাতাল ও এতিমখানায় গিয়ে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও Logo জন্মদিন পালন না করে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়ার আয়োজন জাবি ছাত্রদল নেতার Logo পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন Logo তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুরে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত Logo অস্ত্র কিনতে এসে খাগড়াছড়িতে আটক রাঙ্গুনিয়ার আইয়ুব Logo ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে ভাঙল তাপমাত্রার রেকর্ড Logo বিশ্বব্যাপী ‘বিভাজন’ বিশ্বের সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে : জাতিসংঘের শরণার্থী প্রধান Logo সারাদেশে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে Logo বেগম জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের স্পিকার Logo বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ

কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ, রোগীর মৃত্যু!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:১২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনেরা। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, গতকাল চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার মৃত মোতালেবের স্ত্রী মোনয়ারা বেগম (৪৮) দুপুরের অসুস্থ বোধ করেন। সন্ধ্যায় মোনয়ারা খাতুন আরও অসুস্থ বোধ করলে মোনয়ারার ছেলে শিপন ও তাঁর আত্মীয় রুশিয়া বেগম তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মেডিসন মোহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরিাবরের সদস্যরা তাঁকে ওয়ার্ডে নিলে মোনয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যাক্তির ছেলে শিপন অভিযোগ করে বলেন ‘ডাক্তার আমার মাকে অনেক দেড়িতে চিকিৎসা দিয়েছে। সঠিক সময় আমার মায়ের চিকিৎসা দিলে আমার মা মারা যেতেন না। অনেকবার বলার পর ডাক্তার আমার মাকে দেখেছেন। আমরা গরিব বলে সব জায়গায় অবহেলা পাই।’
এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, ‘জরুরি বিভাগে এ সময় অনেক রোগী ছিল। আমি অন্য একটি রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। জরুরি বিভাগের ভেতর বসে থাকা একটি রোগিকে দেখার জন্য একটি ছেলে আমাকে বলে। এ সময় আমি ছেলেটিকে আমার কাছে রোগীকে নিয়ে আসতে বলি। রোগী হাঁটতে পারছিল না। আমি উঠে যেয়ে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ওয়ার্ডে ভর্তি করি। রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। পরে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে রোগীর মৃত্যু হয়। আমি মনে করি, এ ঘটনায় দায়িত্বে কোনো অবহেলা হয়নি।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির বলেন, ‘সকাল ও সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের প্রচুর চাপ থাকে। রোগীর চাপ সামাল দিতে জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসককে হিমশিম খেতে হয়। এ জন্য বিকাল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত জরুরি বিভাগের সামনের ১২৭ নম্বর কক্ষে আরও একজন চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর পরও রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে হাসপাতাল ও এতিমখানায় গিয়ে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও

কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ, রোগীর মৃত্যু!

আপডেট সময় : ১১:০৪:১২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনেরা। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, গতকাল চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার মৃত মোতালেবের স্ত্রী মোনয়ারা বেগম (৪৮) দুপুরের অসুস্থ বোধ করেন। সন্ধ্যায় মোনয়ারা খাতুন আরও অসুস্থ বোধ করলে মোনয়ারার ছেলে শিপন ও তাঁর আত্মীয় রুশিয়া বেগম তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মেডিসন মোহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরিাবরের সদস্যরা তাঁকে ওয়ার্ডে নিলে মোনয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ব্যাক্তির ছেলে শিপন অভিযোগ করে বলেন ‘ডাক্তার আমার মাকে অনেক দেড়িতে চিকিৎসা দিয়েছে। সঠিক সময় আমার মায়ের চিকিৎসা দিলে আমার মা মারা যেতেন না। অনেকবার বলার পর ডাক্তার আমার মাকে দেখেছেন। আমরা গরিব বলে সব জায়গায় অবহেলা পাই।’
এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, ‘জরুরি বিভাগে এ সময় অনেক রোগী ছিল। আমি অন্য একটি রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। জরুরি বিভাগের ভেতর বসে থাকা একটি রোগিকে দেখার জন্য একটি ছেলে আমাকে বলে। এ সময় আমি ছেলেটিকে আমার কাছে রোগীকে নিয়ে আসতে বলি। রোগী হাঁটতে পারছিল না। আমি উঠে যেয়ে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ওয়ার্ডে ভর্তি করি। রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। পরে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে রোগীর মৃত্যু হয়। আমি মনে করি, এ ঘটনায় দায়িত্বে কোনো অবহেলা হয়নি।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির বলেন, ‘সকাল ও সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীদের প্রচুর চাপ থাকে। রোগীর চাপ সামাল দিতে জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসককে হিমশিম খেতে হয়। এ জন্য বিকাল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত জরুরি বিভাগের সামনের ১২৭ নম্বর কক্ষে আরও একজন চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছেন। এর পরও রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।