চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল বেড়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে বেড়েছে সংঘবদ্ধ দালালদের দৌরাত্ম্য। দালালেরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগীদেরকে ঠকিয়ে লুটে নিচ্ছে তাদের টাকা পয়সা। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ হাসপাতালের ১২৭নং কক্ষ ও হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে থেকে রোগীদেরকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় দুজন দালালকে হাতেনাতে ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রেরণ করে।
জানা যায়, গতাকল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের ১২৭নং কক্ষের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে ফুঁসলিয়ে বাইরের কোনো এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য নায়েক মুকুল হোসেন রোগীদের সঙ্গে দালালের সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করেন। এসময় তিনি চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের হানুরবাড়াদি গ্রামের মাঝেরপাড়ার শমসের আলীর ছেলে জাহিদকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রশ্নের মুখে জাহিদ তাঁর দালালির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু পুলিশ সদস্য তাঁকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবিরের কক্ষে নিয়ে যান এবং পরবর্তীতে জাহিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রেরণ করেন।
এদিকে, দালাল জাহিদ আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা না পেরোতেই সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের প্রধান ফটকের সামনে একই অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মৃত সুলতান শেখের ছেলে তরুন নামের এক রিকসা চালককে আটক করে পুলিশ।
আটক দুই দালালের ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘দালাল সন্দেহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে জাহিদ ও তরুণ নামের দুজনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁদের উপযুক্ত অভিভাবক পেলে এ ধরনের কর্মকা-ের সঙ্গে পুনরায় জড়িত না হওয়ার অঙ্গীকারে আপোষনামায় মুক্তি দেয়া হবে। তবে উপযুক্ত অভিভাবক না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।