শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

যুক্তরাজ্যে আস্থাভোটে টিকে গেলেন টেরেসা মে !

  • আপডেট সময় : ০৭:১০:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বুধবার আস্থা ভোটে টিকে গেছেন। এর ফলে তিনি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকছেন। তবে আস্থা ভোটে তিনি তার এক তৃতীয়াংশ সহকর্মীর সমর্থন হারিয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কনজারভেটিভ পার্টির মোট ৩১৭ আইনপ্রণেতার (এমপি) মধ্যে ২শ’ জন টেরেসা মে’র পক্ষে ভোট দেন। বাকি ১১৭ জন ভোট দেন বিপক্ষে। এতে মে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হিসেবে টিকে গেলেও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে তার নিজ দলের এমপিদের একটি বড় অংশের সমর্থন নেই, তা স্পষ্ট।
এর ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এই এক তৃতীয়াংশ সহকর্মীর সমর্থন হারানোর ফলে সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাস করানো এখন মে’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। উদ্ভুত পরিস্থিতি এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ফলাফল ঘোষণার পর মে তার ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ের বাইরে এসে বলেন, ‘আজকের ভোটাভুটিতে আমার সহকর্মীদের সমর্থন পেয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সহকর্মী আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। কেন তারা আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন আমি তা শুনেছি।’
এখন তিনি ফের ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজে মনোযোগী হতে চান বলে এই ভোট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করেন।
মে আরো বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি সব পক্ষের রাজনীতিকদের ঐক্যবদ্ধ সমর্থন চান।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
মে’র বিজয়ী হওয়ার খবরে পার্লামেন্টের বাইরে অপেক্ষমান তার সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন।
কিন্তু ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধান বিরোধী জ্যাকব রিস মোগ আস্থাভোটের ফলাফলকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেয়। পরাজয় মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নতুন প্রানমন্ত্রী হন মে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

যুক্তরাজ্যে আস্থাভোটে টিকে গেলেন টেরেসা মে !

আপডেট সময় : ০৭:১০:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বুধবার আস্থা ভোটে টিকে গেছেন। এর ফলে তিনি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকছেন। তবে আস্থা ভোটে তিনি তার এক তৃতীয়াংশ সহকর্মীর সমর্থন হারিয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কনজারভেটিভ পার্টির মোট ৩১৭ আইনপ্রণেতার (এমপি) মধ্যে ২শ’ জন টেরেসা মে’র পক্ষে ভোট দেন। বাকি ১১৭ জন ভোট দেন বিপক্ষে। এতে মে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হিসেবে টিকে গেলেও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে তার নিজ দলের এমপিদের একটি বড় অংশের সমর্থন নেই, তা স্পষ্ট।
এর ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এই এক তৃতীয়াংশ সহকর্মীর সমর্থন হারানোর ফলে সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাস করানো এখন মে’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। উদ্ভুত পরিস্থিতি এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ফলাফল ঘোষণার পর মে তার ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ের বাইরে এসে বলেন, ‘আজকের ভোটাভুটিতে আমার সহকর্মীদের সমর্থন পেয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সহকর্মী আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। কেন তারা আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন আমি তা শুনেছি।’
এখন তিনি ফের ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজে মনোযোগী হতে চান বলে এই ভোট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করেন।
মে আরো বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি সব পক্ষের রাজনীতিকদের ঐক্যবদ্ধ সমর্থন চান।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
মে’র বিজয়ী হওয়ার খবরে পার্লামেন্টের বাইরে অপেক্ষমান তার সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন।
কিন্তু ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধান বিরোধী জ্যাকব রিস মোগ আস্থাভোটের ফলাফলকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেয়। পরাজয় মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নতুন প্রানমন্ত্রী হন মে।