শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

নির্বাচনে জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা ঘোষণা করতে না পারা সবচেয়ে বড় পরাজয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নাম ঘোষণা করতে না পারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও মাথা নেই। তাদের এমন কোন ফেস (নেতা) নেই যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। দিন যত যাবে আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় আসবে তা আরো স্পষ্ট হবে।’
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে উল্লেখ করে কাদের আরো বলেন, পরাজয়ের ভয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ২৫ দিন আগে আন্দোলনের ঘোষনা দু:স্বপ্নের নামান্তর। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপি অনেক উস্কানী দেয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগন এখন নির্বাচনের আমেজে রয়েছে। তারা এখন আন্দোলনের মুডে নেই। বিএনপি যতই আন্দোলনের কথা বলুক, জনগন এখন আর সে মুডে নেই। কিন্তু পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নানা ভাবে উস্কানী দেয়ার চেষ্টা করছে।
কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি এবং অসাম্প্রদায়িক শুভ শক্তির নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। জনগণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে আওয়ামী লীগকেই বিজয়ী করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগনের শক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি গুজবের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপির জনগণের ওপর আস্থা কম। যাদের জনগণের ওপর আস্থা কম তারাই গুজবের ওপর নির্ভর করে। রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয় মিথ্যাচার আর গুজবের কারখানা।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, মনোনয়ন নিয়ে অন্যবারের তুলনায় এবার দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে। তবে যারা বিদ্রোহী হবে তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দন্ডিত ব্যক্তির নির্বাচন না করাই ভালো। নৈতিকতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এটাকে সমর্থন করে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণগ্রেফতারের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা গণগ্রেফতারের যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। গণগ্রেফতারের সুনির্দিষ্ট তালিকা ছাড়া তাদের এ ধরনের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তাদের গণগ্রেফতারের সুনিদিষ্ট তালিকা দিতে হবে। সন্ত্রাসী ও সুনিদিষ্ট মামলার আসামী ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ

নির্বাচনে জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা ঘোষণা করতে না পারা সবচেয়ে বড় পরাজয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নাম ঘোষণা করতে না পারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও মাথা নেই। তাদের এমন কোন ফেস (নেতা) নেই যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। দিন যত যাবে আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় আসবে তা আরো স্পষ্ট হবে।’
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে উল্লেখ করে কাদের আরো বলেন, পরাজয়ের ভয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ২৫ দিন আগে আন্দোলনের ঘোষনা দু:স্বপ্নের নামান্তর। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিএনপি অনেক উস্কানী দেয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগন এখন নির্বাচনের আমেজে রয়েছে। তারা এখন আন্দোলনের মুডে নেই। বিএনপি যতই আন্দোলনের কথা বলুক, জনগন এখন আর সে মুডে নেই। কিন্তু পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নানা ভাবে উস্কানী দেয়ার চেষ্টা করছে।
কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি এবং অসাম্প্রদায়িক শুভ শক্তির নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। জনগণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে আওয়ামী লীগকেই বিজয়ী করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগনের শক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি গুজবের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপির জনগণের ওপর আস্থা কম। যাদের জনগণের ওপর আস্থা কম তারাই গুজবের ওপর নির্ভর করে। রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয় মিথ্যাচার আর গুজবের কারখানা।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, মনোনয়ন নিয়ে অন্যবারের তুলনায় এবার দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে। তবে যারা বিদ্রোহী হবে তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দন্ডিত ব্যক্তির নির্বাচন না করাই ভালো। নৈতিকতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এটাকে সমর্থন করে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণগ্রেফতারের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা গণগ্রেফতারের যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। গণগ্রেফতারের সুনির্দিষ্ট তালিকা ছাড়া তাদের এ ধরনের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তাদের গণগ্রেফতারের সুনিদিষ্ট তালিকা দিতে হবে। সন্ত্রাসী ও সুনিদিষ্ট মামলার আসামী ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি।