মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

নান্দাইলে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান কার্যক্রম ॥ আতংকে ছাত্রছাত্রী

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:০৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দক্ষিন পূর্ব কুচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি খূবই ঝুকিঁপূর্ণ। আতংকের মধ্য দিয়ে চলছে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম। ভবন ধসে পড়ে যাবার ভয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো প্রায় বন্ধ করেই দিয়েছেন। যে কোন মুহুর্তে স্কুলটির ছাদ ভেঙ্গে কোমলমতি শিশুদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ যেন দেখার কেউ নেই। জানাযায়, উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নে রতনবাজারের পাশে ১৯৩৫ সনে ৫১শতাংশ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত এই দক্ষিন পূর্ব কুচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। জমিদাতা সদস্য মরহুম ছমির উদ্দিনের সহযোগীতায় প্রথমে টিনশেড ঘরেই চলত শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পরে ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন নির্মিত হয়। আর তাতে ৪টি ছোটবড় রুম নিয়েই চলছিল শিক্ষাদান। ২৭৫ জন ছাত্রছাত্রী এখানে শিক্ষাগ্রহন করছে। সময়ের সাথে সাথে ২৩ বৎসরে স্কুল ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সরজমিন দেখাযায়, স্কুল ভবনের ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। লোহার দরজা-জানালাগুলো সংযুক্তিহীন হয়ে পড়ায় নেই কোন নিরাপত্তা। দেওয়ালের প্লাস্টার উঠে মরিচাযুক্ত রডগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। প্রায়ই স্কুলের ছাদের প্লাস্টার বড় বড় অংশে ধসে পড়ছে রুমের ফ্লোরে। এতে ছাত্রছাত্রীর আহতের ঘটনাও ঘটেছে। তাই ভয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী। শুধু তাই নয় বিদ্যালয় ভবনের বারিন্দার পাকা খুটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। প্লাস্টার ও ইট ক্ষয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ফাটল দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। বর্তমানে স্কুলটি মেরামতেরও অযোগ্য। যেকোন মুহুর্তে ভূমিকম্পে বা মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় ধসে পড়তে পারে স্কুলটি। স্থানীয় অভিভাবকগণ বলেন, ‘স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বার বার রাজনীতিবিদ সহ সরকারী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তবু নতুন স্কুল স্থাপন বা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা আক্তার জানান, ‘স্কুলের পুরাতন জনাজীর্ণ ভবনের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করার পরেও কোন কাজ হয়নি।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, ‘ বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে’। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও এই স্কুলটিতে তাঁর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যে সমস্ত বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় ভবনের প্রয়োজন নেই সে সমস্ত বিদ্যালয়ে নতুন ভবন তৈরী হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে অনতি বিলম্বে অত্র বিদ্যালয়ে নতুন ভবন স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

নান্দাইলে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান কার্যক্রম ॥ আতংকে ছাত্রছাত্রী

আপডেট সময় : ১১:৪২:০৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দক্ষিন পূর্ব কুচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি খূবই ঝুকিঁপূর্ণ। আতংকের মধ্য দিয়ে চলছে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম। ভবন ধসে পড়ে যাবার ভয়ে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো প্রায় বন্ধ করেই দিয়েছেন। যে কোন মুহুর্তে স্কুলটির ছাদ ভেঙ্গে কোমলমতি শিশুদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ যেন দেখার কেউ নেই। জানাযায়, উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নে রতনবাজারের পাশে ১৯৩৫ সনে ৫১শতাংশ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত এই দক্ষিন পূর্ব কুচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। জমিদাতা সদস্য মরহুম ছমির উদ্দিনের সহযোগীতায় প্রথমে টিনশেড ঘরেই চলত শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পরে ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন নির্মিত হয়। আর তাতে ৪টি ছোটবড় রুম নিয়েই চলছিল শিক্ষাদান। ২৭৫ জন ছাত্রছাত্রী এখানে শিক্ষাগ্রহন করছে। সময়ের সাথে সাথে ২৩ বৎসরে স্কুল ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সরজমিন দেখাযায়, স্কুল ভবনের ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। লোহার দরজা-জানালাগুলো সংযুক্তিহীন হয়ে পড়ায় নেই কোন নিরাপত্তা। দেওয়ালের প্লাস্টার উঠে মরিচাযুক্ত রডগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। প্রায়ই স্কুলের ছাদের প্লাস্টার বড় বড় অংশে ধসে পড়ছে রুমের ফ্লোরে। এতে ছাত্রছাত্রীর আহতের ঘটনাও ঘটেছে। তাই ভয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী। শুধু তাই নয় বিদ্যালয় ভবনের বারিন্দার পাকা খুটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। প্লাস্টার ও ইট ক্ষয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ফাটল দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। বর্তমানে স্কুলটি মেরামতেরও অযোগ্য। যেকোন মুহুর্তে ভূমিকম্পে বা মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় ধসে পড়তে পারে স্কুলটি। স্থানীয় অভিভাবকগণ বলেন, ‘স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বার বার রাজনীতিবিদ সহ সরকারী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তবু নতুন স্কুল স্থাপন বা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হালিমা আক্তার জানান, ‘স্কুলের পুরাতন জনাজীর্ণ ভবনের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করার পরেও কোন কাজ হয়নি।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, ‘ বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে’। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও এই স্কুলটিতে তাঁর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যে সমস্ত বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় ভবনের প্রয়োজন নেই সে সমস্ত বিদ্যালয়ে নতুন ভবন তৈরী হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে অনতি বিলম্বে অত্র বিদ্যালয়ে নতুন ভবন স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।