রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা

যেমন চলছে ঝিনাইদহের চার নারী শ্বাসিত উপজেলা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহে ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। স্বামী সন্তান নিয়ে সংসারের পাশাপাশি তারা দক্ষতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের দাফতরিক কাজ সামলাচ্ছেন। কথায় আছে যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এ সব নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন বাল্যবিয়ে ও যৌতুক বন্ধের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলাকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এমনকি পরিবেশ উন্নয়ন খেলাধুলা, নদীর কচুরিপানা পরিস্কার, জলবায়ু, শিক্ষা সাংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে তারা নিজেদের সম্পৃক্ত করে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন আহবহ সৃষ্টি করেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে গত বছরে তিনি ঝিনাইদহ সদরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। কালীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগদান করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা, যিনি ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ শাশ্বতী শীল এ বছরের ২৫ জুলাই থেকে মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যোগদানের পর থেকেই এই চার নারী ইউএনও প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন এ স্কুল থেকে সে স্কুলে। সমস্যার তথ্য নিচ্ছেন, এর সমাধানেও কাজ করছেন। এ ছাড়া, বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য তারা ছুটে যাচ্ছেন। উপজেলাগুলোর পরিবেশের উন্নয়নেও তারা ভূমিকা রাখছেন। নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন, নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। উপজেলাকে সাজাতে নানা ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। তিনি বলেন, সদরে অনেক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বের পুরোটাই পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। মহেশপুরে ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বাঁধার সম্মুখীন হইনি। আমার যোগদানের বেশিদিন হয়নি। দাফতরিক কাজের পাশাপাশি উপজেলার শিক্ষা, পরিবেশ উন্নয়নে কাজের আগ্রহ আছে। কোটচাঁদপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ‘দাফতরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের, তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যাই করি, খুবই ভালো লাগে। আমার কাজে সবাই সহযোগিতা করে। এটা অটুট থাকলে আরও নানা কাজ করে যেতে পারবো। সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, টাকা উদ্ধারের জন্য আমরা সদর উপজেলার ইউএনও শাম্মি ইসলামের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করে টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বৃত্তের বাইরে গিয়েও এ সব নারী অফিসারগুলো সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে

যেমন চলছে ঝিনাইদহের চার নারী শ্বাসিত উপজেলা

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহে ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। স্বামী সন্তান নিয়ে সংসারের পাশাপাশি তারা দক্ষতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের দাফতরিক কাজ সামলাচ্ছেন। কথায় আছে যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এ সব নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন বাল্যবিয়ে ও যৌতুক বন্ধের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলাকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এমনকি পরিবেশ উন্নয়ন খেলাধুলা, নদীর কচুরিপানা পরিস্কার, জলবায়ু, শিক্ষা সাংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে তারা নিজেদের সম্পৃক্ত করে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন আহবহ সৃষ্টি করেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে গত বছরে তিনি ঝিনাইদহ সদরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। কালীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগদান করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা, যিনি ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ শাশ্বতী শীল এ বছরের ২৫ জুলাই থেকে মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যোগদানের পর থেকেই এই চার নারী ইউএনও প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন এ স্কুল থেকে সে স্কুলে। সমস্যার তথ্য নিচ্ছেন, এর সমাধানেও কাজ করছেন। এ ছাড়া, বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য তারা ছুটে যাচ্ছেন। উপজেলাগুলোর পরিবেশের উন্নয়নেও তারা ভূমিকা রাখছেন। নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন, নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। উপজেলাকে সাজাতে নানা ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। তিনি বলেন, সদরে অনেক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বের পুরোটাই পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। মহেশপুরে ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বাঁধার সম্মুখীন হইনি। আমার যোগদানের বেশিদিন হয়নি। দাফতরিক কাজের পাশাপাশি উপজেলার শিক্ষা, পরিবেশ উন্নয়নে কাজের আগ্রহ আছে। কোটচাঁদপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ‘দাফতরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের, তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যাই করি, খুবই ভালো লাগে। আমার কাজে সবাই সহযোগিতা করে। এটা অটুট থাকলে আরও নানা কাজ করে যেতে পারবো। সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, টাকা উদ্ধারের জন্য আমরা সদর উপজেলার ইউএনও শাম্মি ইসলামের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করে টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বৃত্তের বাইরে গিয়েও এ সব নারী অফিসারগুলো সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।