শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে তিন মাসের শিশুকে বিক্রি, এলাকায় চাঞ্চল্য Logo বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির ১১৬তম জন্মদিন উদযাপিত! Logo সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo খুবিতে শুরু হচ্ছে ওংকার শৃণুতার পুনর্মিলনী ও আবৃত্তি উৎসব Logo সিরাজগঞ্জ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল হাই স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন Logo মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে কোপাল ছেলে Logo সাতক্ষীরা কলারোয়ায় সাবেক যুবদল নেতার আগ্রাসনে বিধবা নারীর বসতবাড়ি ভাঙচুর Logo চাঁদপুর পুরান বাজারে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ভারতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অফিস বন্ধের আহ্বান ঢাকার! Logo ইবিতে প্রথম ট্যুরিস্ট ক্লাব নির্বাচন; নেতৃত্বে রিফাত ও ফেরদৌস

যেমন চলছে ঝিনাইদহের চার নারী শ্বাসিত উপজেলা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহে ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। স্বামী সন্তান নিয়ে সংসারের পাশাপাশি তারা দক্ষতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের দাফতরিক কাজ সামলাচ্ছেন। কথায় আছে যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এ সব নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন বাল্যবিয়ে ও যৌতুক বন্ধের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলাকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এমনকি পরিবেশ উন্নয়ন খেলাধুলা, নদীর কচুরিপানা পরিস্কার, জলবায়ু, শিক্ষা সাংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে তারা নিজেদের সম্পৃক্ত করে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন আহবহ সৃষ্টি করেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে গত বছরে তিনি ঝিনাইদহ সদরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। কালীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগদান করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা, যিনি ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ শাশ্বতী শীল এ বছরের ২৫ জুলাই থেকে মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যোগদানের পর থেকেই এই চার নারী ইউএনও প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন এ স্কুল থেকে সে স্কুলে। সমস্যার তথ্য নিচ্ছেন, এর সমাধানেও কাজ করছেন। এ ছাড়া, বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য তারা ছুটে যাচ্ছেন। উপজেলাগুলোর পরিবেশের উন্নয়নেও তারা ভূমিকা রাখছেন। নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন, নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। উপজেলাকে সাজাতে নানা ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। তিনি বলেন, সদরে অনেক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বের পুরোটাই পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। মহেশপুরে ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বাঁধার সম্মুখীন হইনি। আমার যোগদানের বেশিদিন হয়নি। দাফতরিক কাজের পাশাপাশি উপজেলার শিক্ষা, পরিবেশ উন্নয়নে কাজের আগ্রহ আছে। কোটচাঁদপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ‘দাফতরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের, তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যাই করি, খুবই ভালো লাগে। আমার কাজে সবাই সহযোগিতা করে। এটা অটুট থাকলে আরও নানা কাজ করে যেতে পারবো। সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, টাকা উদ্ধারের জন্য আমরা সদর উপজেলার ইউএনও শাম্মি ইসলামের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করে টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বৃত্তের বাইরে গিয়েও এ সব নারী অফিসারগুলো সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে তিন মাসের শিশুকে বিক্রি, এলাকায় চাঞ্চল্য

যেমন চলছে ঝিনাইদহের চার নারী শ্বাসিত উপজেলা

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহে ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। স্বামী সন্তান নিয়ে সংসারের পাশাপাশি তারা দক্ষতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের দাফতরিক কাজ সামলাচ্ছেন। কথায় আছে যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এ সব নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন বাল্যবিয়ে ও যৌতুক বন্ধের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলাকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এমনকি পরিবেশ উন্নয়ন খেলাধুলা, নদীর কচুরিপানা পরিস্কার, জলবায়ু, শিক্ষা সাংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে তারা নিজেদের সম্পৃক্ত করে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন আহবহ সৃষ্টি করেছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে গত বছরে তিনি ঝিনাইদহ সদরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। কালীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগদান করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা, যিনি ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৯ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ শাশ্বতী শীল এ বছরের ২৫ জুলাই থেকে মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যোগদানের পর থেকেই এই চার নারী ইউএনও প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন এ স্কুল থেকে সে স্কুলে। সমস্যার তথ্য নিচ্ছেন, এর সমাধানেও কাজ করছেন। এ ছাড়া, বাল্যবিয়ের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য তারা ছুটে যাচ্ছেন। উপজেলাগুলোর পরিবেশের উন্নয়নেও তারা ভূমিকা রাখছেন। নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন, নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। উপজেলাকে সাজাতে নানা ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। তিনি বলেন, সদরে অনেক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বের পুরোটাই পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। মহেশপুরে ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বাঁধার সম্মুখীন হইনি। আমার যোগদানের বেশিদিন হয়নি। দাফতরিক কাজের পাশাপাশি উপজেলার শিক্ষা, পরিবেশ উন্নয়নে কাজের আগ্রহ আছে। কোটচাঁদপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ‘দাফতরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের, তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যাই করি, খুবই ভালো লাগে। আমার কাজে সবাই সহযোগিতা করে। এটা অটুট থাকলে আরও নানা কাজ করে যেতে পারবো। সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, টাকা উদ্ধারের জন্য আমরা সদর উপজেলার ইউএনও শাম্মি ইসলামের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করে টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বৃত্তের বাইরে গিয়েও এ সব নারী অফিসারগুলো সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।