শিরোনাম :
Logo চীনে ভয়াবহ বন্যা , বৃদ্ধাশ্রমে ৩০ জনের মৃত্যু Logo আধা ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে দুই রেকর্ড গিলের, হতে পারে আরও Logo বেইজিংয়ে ভারী বৃষ্টিপাতে ৪৪ জনের মৃত্যু Logo কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১, আহত অন্তত ৪০ Logo পিআর পদ্ধতি জানে না জনগণ, চায় পুরোনো পদ্ধতিতে নির্বাচন: টুকু Logo চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ঢাকাস্থ চাঁদপুর সমিতির’সাধারন সভা অনুষ্ঠিত চাঁদপুর জেলা হবে বাংলাদেশের মডেল এবং বুদ্ধি ভিত্তিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র ……উপাধ্যক্ষ নূরুজ্জামান হীরা Logo বীরগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত Logo বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুরনের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান

যুক্তরাষ্ট্র – পাকিস্তান: দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলবে মাইক পম্পেও’র সফরে ?

  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে এ বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের চেষ্টাই চলছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু এখনো দুই দেশের মধ্যে মতাদর্শের কিছু পার্থক্য রয়ে গেছে, বিশেষ করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে। তাছাড়া, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের জন্য বিলিয়ন ডলার সাহায্য বাতিল করেছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান, যা দেশটি বরাবর প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মাইক পম্পেও।

এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কতটা গলাতে পারবে?

পাকিস্তানের ডেইলি নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ”দুই দেশের কর্মকর্তারাই বিশ্বাস করছেন যে, সে সম্পর্ক প্রায় ভেঙ্গে গেছে, সেটি নতুন ভাবে শুরু করার জন্য উভয় দেশই রাজি আছে। আসলে আগে পাকিস্তানের কর্ণধারদের সঙ্গে আমেরিকার কর্মকর্তাদের কথা হতো, তখন আমেরিকান কর্ণধাররা মনে করতেন, তারা যেটি চাইবেন, সেটিই পাকিস্তান মেনে নেবে। তবে এখন পরিষ্কার হয়েছে যে, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে জনগণের একটি সম্পর্ক রয়েছে এবং পাকিস্তানের ওপর জোর করে কিছু করা যাবে না।”

এই বৈঠকে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে?

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটে আইএমএফের একটি বেল আউটের বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।

মনির আহমেদ বলছেন, ”আগে ওয়াশিংটন আভাস দিয়েছিল যে, তাতে তারা বাধা দিতে পারে। তবে পাকিস্তানে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যে এরকম বেল আউটে তারা কোন বাধা দেবে না। তবে পাকিস্তান শেষপর্যন্ত এই বেল আউটে যাবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।”

”সম্প্রতি যে তিনশো মিলিয়ন ডলার কোয়ালিশন সহায়তা তহবিল বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেটিও এই বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এখানে এসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একেবারে বলছেন না যে, ওই তহবিল একেবারে বন্ধ হয়েছে। তারা বলছেন, এটা আবার যেকোনো সময় খুলে দেয়া হবে পারে। তারা চাইছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্বার্থ, সেটি পাকিস্তান বুঝবে। বিশেষ করে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার, সেগুলো তারা দেবে।”

পাকিস্তানের নতুন সরকার কতটা ছাড় দেবে?

ইমরান খান এবং মাইক পম্পেও’র বৈঠকে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে,আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালেবানের ওপর প্রভাব কাজে লাগাবে পাকিস্তান।

সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ”পাকিস্তান একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে, আমেরিকা যা চাইছে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ, সুতরাং পাকিস্তানের যেসব স্বার্থ রয়েছে, সেটাও যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রকে মেনে নিতে হবে। আমেরিকা চাইছে, তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।”

সূত্র :  বিবিসি বাংলা

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চীনে ভয়াবহ বন্যা , বৃদ্ধাশ্রমে ৩০ জনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্র – পাকিস্তান: দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলবে মাইক পম্পেও’র সফরে ?

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে এ বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের চেষ্টাই চলছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু এখনো দুই দেশের মধ্যে মতাদর্শের কিছু পার্থক্য রয়ে গেছে, বিশেষ করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে। তাছাড়া, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের জন্য বিলিয়ন ডলার সাহায্য বাতিল করেছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান, যা দেশটি বরাবর প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মাইক পম্পেও।

এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কতটা গলাতে পারবে?

পাকিস্তানের ডেইলি নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ”দুই দেশের কর্মকর্তারাই বিশ্বাস করছেন যে, সে সম্পর্ক প্রায় ভেঙ্গে গেছে, সেটি নতুন ভাবে শুরু করার জন্য উভয় দেশই রাজি আছে। আসলে আগে পাকিস্তানের কর্ণধারদের সঙ্গে আমেরিকার কর্মকর্তাদের কথা হতো, তখন আমেরিকান কর্ণধাররা মনে করতেন, তারা যেটি চাইবেন, সেটিই পাকিস্তান মেনে নেবে। তবে এখন পরিষ্কার হয়েছে যে, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে জনগণের একটি সম্পর্ক রয়েছে এবং পাকিস্তানের ওপর জোর করে কিছু করা যাবে না।”

এই বৈঠকে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে?

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটে আইএমএফের একটি বেল আউটের বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।

মনির আহমেদ বলছেন, ”আগে ওয়াশিংটন আভাস দিয়েছিল যে, তাতে তারা বাধা দিতে পারে। তবে পাকিস্তানে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যে এরকম বেল আউটে তারা কোন বাধা দেবে না। তবে পাকিস্তান শেষপর্যন্ত এই বেল আউটে যাবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।”

”সম্প্রতি যে তিনশো মিলিয়ন ডলার কোয়ালিশন সহায়তা তহবিল বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেটিও এই বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এখানে এসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একেবারে বলছেন না যে, ওই তহবিল একেবারে বন্ধ হয়েছে। তারা বলছেন, এটা আবার যেকোনো সময় খুলে দেয়া হবে পারে। তারা চাইছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্বার্থ, সেটি পাকিস্তান বুঝবে। বিশেষ করে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার, সেগুলো তারা দেবে।”

পাকিস্তানের নতুন সরকার কতটা ছাড় দেবে?

ইমরান খান এবং মাইক পম্পেও’র বৈঠকে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে,আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালেবানের ওপর প্রভাব কাজে লাগাবে পাকিস্তান।

সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ”পাকিস্তান একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে, আমেরিকা যা চাইছে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ, সুতরাং পাকিস্তানের যেসব স্বার্থ রয়েছে, সেটাও যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রকে মেনে নিতে হবে। আমেরিকা চাইছে, তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।”

সূত্র :  বিবিসি বাংলা