নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের জনস্বার্থকে সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে। আগামীকাল জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এ কখা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্যই সিভিল সার্ভিসের প্রত্যেক সদস্যকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সবসময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। জনপ্রশাসনকে হতে হবে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমুখী। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সেবা সহজ, সুলভ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বর্তমান সিভিল সার্ভিসে যুগের চাহিদা অনুযায়ী অনেক গুণগত পরিবর্তন এসেছে। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল। তিনি আশা করেন, নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সঠিক ও সর্বোত্তমভাবে দ্রুত সেবা প্রদানে সিভিল সার্ভেন্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ‘আমি এ বছর জাতীয় ও জেলা পর্যায়ের জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’।
প্রযুক্তি নির্ভর, আধুনিক ও উন্নত একটি রাষ্ট্র গঠনে বর্তমান সরকার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন একটি দক্ষ, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও কার্যকর জনপ্রশাসন। তিনি বলেন,প্রথাগত কাজের বাইরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উদ্ভাবনী চর্চার সঙ্গে পাবলিক গভর্ন্যান্স পদ্ধতির সমন্বয়ে নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী সংস্কৃতি চালু করেছে। উপজেলা, জেলা, বিভাগ, অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবনী টিমসমূহের কাছ থেকে প্রাপ্ত উদ্ভাবনী ধারণা ও উদ্যোগ দৈনন্দিন কার্যাবলিসহ বিভিন্ন প্রকল্পে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবহারের মাধ্যমে একটি অনুসরণীয় উদ্ভাবনী সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।
আবদুল হামিদ বলেন,ভালো কাজের স্বীকৃতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। ‘আমি আশা করি পদকপ্রাপ্তদের পথ অনুসরণ করে অন্যান্য কর্মচারীরাও জনকল্যাণে উদ্ভাবনী কাজে এগিয়ে আসবেন এবং জনপ্রত্যাশা পূরণে অবদান রাখবেন।
তিনি জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।